ঢাকা: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ‘উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২৩ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং সারা দেশে একযোগে ‘গণজাগরণের চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ অনুষ্ঠান আয়োজন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাট্যকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শিল্পের সব শাখার শিল্পীকে যুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। যারা গণজাগরণের শিল্প উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন তাদের আমরা শিল্প-যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শিল্পীরাই পারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে।
নারীর ক্ষমতায়ন, স্থানীয়, আঞ্চলিক আয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি বা সম্প্রসারণ, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ, সুস্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, উদ্ভাবন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং জীববৈচিত্র্যের মতো পরিবেশগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই সামগ্রিক উন্নয়নের একটি খণ্ডিত রূপকে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে ‘উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক ৫ মিনিটের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা ও উৎসব ২০২৩।
এ প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অসংখ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে। উক্ত চলচ্চিত্রগুলো থেকে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করে একটি সিলেকশন ও জুরি কমিটি। কমিটির সদস্যদের মধ্যে আহ্বায়ক ছিলেন মসিহ্উদ্দিন শাকের, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ। সদস্যরা হলেন চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার, জাহিদুর রহিম অঞ্জন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১০ জনকে ১০টি চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
একই মঞ্চে শুক্রবার পর্দা উঠে দেশব্যাপী ‘গণজাগরণের চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’-এর। শিল্প সংস্কৃতিঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুরু হয়েছে গণজাগরণের শিল্প আন্দোলন।
এরই ধারাবাহিকতায় নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (২০২৪) ৮ দিনব্যাপী ৬৪ জেলায় একযোগে শুরু হচ্ছে ‘গণজাগরণের চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’। ১৮টি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে যার মধ্যে ১৫টি চলচ্চিত্র পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং বিশেষ প্রদর্শনী হিসেবে থাকছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এইচএমএস/এফআর