ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

থানা থেকে তরুণের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৪
থানা থেকে তরুণের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এসআই প্রত্যাহার এসআই মনিরুল ইসলাম

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা হাজতের ভেতর থেকে আসামির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
 
ঘটনার চার দিন পর শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হলো।


 
শনিবার রাতেয় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
এদিকে এসআই মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্যাতন করে গোলাম রব্বানী নামে ওই যুবককে হত্যা করার অভিযোগ তার পরিবারের।
 
এ বিষয়ে এসপি বলেন, “শিগগিরই এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করবে তদন্ত কমিটি। দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ”
 
মৃত গোলাম রব্বানী বানিয়াচং উপজেলা সদরের নন্দিপাড়া মহল্লার মিহির উদ্দিনের ছেলে। গত মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাজতের ভেতরে পরনের কাপড় দিয়ে শিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ওই আসামি ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল।
 
রাব্বানীর বড় ভাই মঈন উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে অপরিচিত বিভিন্ন নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাদের গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য তিনি এলাকা থেকে হবিগঞ্জ শহরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
 
তিনি আরও বলেন, “বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন ও উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল হকসহ যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব। মামলা দায়েরের জন্য থানা ও হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য চেষ্টা করলেও রহস্যজনক কারণে এই রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। ”
 
তিনি বলেন, “আমার ভাইয়ের বয়স মাত্র ১৭ বছর। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। তাঁকে পুলিশ একের পর এক চুরির মামলা দিয়ে জীবন দুর্বিসহ করে তোলে। ঘটনার দিন তাকে যখন এসআই মনিরুল হক নিয়ে যান তখন আমি জিজ্ঞেস করলে জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নেওয়া হচ্ছে। পরে আমার ভাইয়ের লাশ দিয়েছে। ”
 
তবে ‘পুলিশি নির্যাতনে খুনের’ অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে বড় বাজার থেকে গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করে এনে থানা হাজতে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে হাজতের ভেতরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

** বানিয়াচং থানার হাজতে ঝুলছিল আসামির মরদেহ
 
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।