রাজশাহী: আওয়ামী সরকারের আমলে বন্ধ করে দেওয়া বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেন চালুর দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে রেলওয়ের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব ও রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ যৌথভাবে এসব দাবি জানিয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীতে থাকা পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
ওই স্মারকলিপি উল্লেখ করা হয়েছে- উত্তরা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগে রাজশাহী থেকে পার্বতীপুর রুটে চলাচল করত। যার ফলে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ী, অসুস্থ ব্যক্তি, চাকরিজীবী এবং সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধা পেয়ে আসছিল। কিন্তু ট্রেনটি অযৌক্তিক কারণে বন্ধ করে দেওয়ায় রেলসেবা গ্রহণকারী যাত্রীরা নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ গুরুত্বপূর্ণ রুটে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীরা চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। তাই জনদুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে ট্রেনটি পুনরায় চালুর দাবি জানানো হয়েছে।
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, রেলওয়ের উন্নয়ন ও কেনাকাটার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগের ওপর ভর করে কর্মকর্তারা ক্ষমতায় টিকে থেকেছেন। তারা সরকারি টাকা লোপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। তবে জুলাই বিপ্লবের চেতনায় অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। তাই রেল খাতে অতীতের সব অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়। এর পাশাপাশি বন্ধ হওয়া স্টেশন ও ট্রেনগুলো অবিলম্বে চালু করতে হবে বলেও জোড় দাবি জানান সামাজিক সংগঠনের এ নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
এসএস/জেএইচ