বরিশাল: বিড়ালে মাছ খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে এক পুলিশ সদস্যের দুই ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ধান গবেষণা রোডের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন- নগরের ধান গবেষণা রোডের রাজিয়া ম্যানশনের ভাড়াটিয়া মহানগর পুলিশের (বিএমপি) নায়েক আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (৩০) ও আরাফাত (২৫) এবং তার বন্ধু একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আলীমের ছেলে মো. মুন্না (২৫)।
ঘটনার পর তুহিন ও তায়েবা নামে এক দম্পতিকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আহত আল আমিনের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, তাদের পোষা বিড়াল অপর ভাড়াটিয়া তুহিনের একটি জাটকা মাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে তুহিন ও তার স্ত্রী তায়েবা ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রথমে আমার স্ত্রী সেলিনা বেগমের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তুহিন ও তায়েবা সেলিনাকে ধাক্কা দেন। তখন সেলিনা চিৎকার দিলে আমার দুই ছেলে ও তাদের বন্ধু মুন্না বের হয়। পরে ধাক্কা দেওয়া নিয়ে তুহিনের সঙ্গে ওই দম্পতির কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে তুহিনের সঙ্গে আমার ছেলে আল-আমিনের হাতাহাতি হয়। তখন তুহিনের স্ত্রী তায়েবা এসে আমার ছোট ছেলে আরাফাতকে বটি দিয়ে কোপ দিতে চাইলে মুন্না তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। তখন ওই নারী মুন্নার হাতে কোপ দিয়ে জখম করে। পরে আল-আমিন ও আরাফাত এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়।
আব্দুর রহমান জানান, ঘটনার পরে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা বেগম কোতয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রাজিয়া ম্যানসনের মালিক অ্যাডভোকেট মাইনুল ইসলাম সজল বলেন, জাটকা ইলিশ বিড়ালে খেয়ে ফেলা নিয়ে দুই ভাড়াটিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে স্বামী ও স্ত্রীকে আটক করেছে। আমি দুই পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসা করার প্রস্তাব দিয়েছি।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক বলেন, ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযুক্ত স্বামী ও স্ত্রীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৪
এমএস/এফআর