ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লোহাগড়ায় সেপটিক ট্যাংকে মিলল নারীর মরদেহ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৪
লোহাগড়ায় সেপটিক ট্যাংকে মিলল নারীর মরদেহ

নড়াইল: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে আম্বিয়া খাতুন (৫২) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রাম থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাব্বির মোল্লা (২৭) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত আম্বিয়া খাতুন মঙ্গলহাটা গ্রামের হবিবর মোল্লার মেয়ে।

সাব্বির নিহত নারীর প্রতিবেশী রাজ্জাক মোল্লার ছেলে ও আম্বিয়া খাতুনের চাচাতো ভাই। মরদেহটি সাব্বির মোল্লাদের বসতঘরের পেছনের সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ছিল।

স্থানীয় লোকজন জানান, আম্বিয়া অবিবাহিত। বাবার সঙ্গে বনিবনা না হওয়াই মঙ্গলহাটা গ্রামে বাবার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে একাই থাকতেন। ছাগল পালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।  

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে কোনো একসময় তাকে হত্যা করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে লোহাগড়া থানার পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া সাব্বির মানসিক ভারসাম্যহীন। এর আগে সে তার নিজের মাকে হত্যা করেছে। সে ঘটনায় দুই বছর জেলও খেটেছে। আম্বিয়াকে হত্যার কথা সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে কি কারণে হত্যা করেছে, তা জানতে চাইলে পুলিশকে একেকবার একেক কথা বলছেন তিনি।

লোহাগড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, নিহত নারীর মুখ ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছ থেকে রক্তমাখা একটি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটক সাব্বির হত্যার কথা স্বীকার করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।