ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কালিয়াকৈরে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
কালিয়াকৈরে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত টিনশেড বাড়ি

গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব উত্তরপাড়া এলাকায় রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে হামলাকারীরা ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।

শুক্রবার (২০ শুক্রবার) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা ও এলাকাবাসী জানায়, সাকাশ্বর এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে নিয়ত আলীর কাছ থেকে প্রায় ৮ মাস আগে ২ শতাংশ জমি ক্রয় করে বরাব উত্তরপাড়া এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে জামরুল ইসলাম। এছাড়া নিয়ত আলীর কাছ থেকে জামরুল ইসলামের শাশুড়ি নার্গিস বেগম আরও ১১ শতাংশ জমি বায়না করে নেন। পরে তারা ওই জমির ওপর একটি টিনশেড ঘর করে। রাতে বরাব মাধবচালা এলাকার রিয়াজ মাহমুদ তালুকদার, নুর ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম ও নছের মার্কেট এলাকার ফরহাদসহ ৩০-৪০ জন লোক ২০-২৫টি মোটরসাইকেল ও অটোরিকশাযোগে গিয়ে ওই বাড়িতে হামলা করে। এ সময় জামরুল ইসলাম ও নার্গিস বেগমের টিনশেডের ওই ঘরটি একেবারেই ভেঙে ফেলে। এছাড়া পাশের আরেকটি ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে।  
একপর্যায়ে তাদের বাধা দিতে গেলে বাড়িতে থাকা মারিয়া (২৫), আয়েশা (১৫), ফারজানা (১৩), নাঈম (১৪) শিখা (২৬) ও নার্গিসকে (৩৫) মারধর করে। এ সময় স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মৌচাক ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে হামলাকারীদের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরে হামলাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।

অভিযুক্ত রিয়াজ মাহমুদ তালুকদার বলেন, অন্যের জমিতে তারা ঘর করেছিল। পরে যাদের জমি তারাই ঘরটি ভেঙে দিয়েছে। আমি এলাকার সাবেক মেম্বার ওই হিসেবে সেখানে গিয়েছিলাম। পুলিশও গিয়েছিল।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ঘর-বাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমাদের জমিতে নার্গিস বেগম ও জামরুল ইসলাম ঘর করছিল। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘর ভেঙে দিয়েছি। তারাও আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের নামেও জমি নামজারি করা আছে তবে কীভাবে করেছে সেটা আপনারাই দেখেন।

কালিয়াকৈর থানার মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আল মামুন খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। রাস্তার পাশে একটি ঘর ভাঙা দেখেছি। তাদের দুই পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ। পরে দুই পক্ষকে তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বলা হয়েছে।  

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। তবে কেউ অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
আরএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।