যশোর: যশোরে ২০ বস্তা সরকারি সার কালোবাজারির অভিযোগে শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ নামে এক সার ও কীটনাশক বিক্রেতাকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার হামিদপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সার জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিএডিসি’র সার দোকানে বিক্রি অবৈধ নয়। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। সার ক্রয়ের রশিদ দেখাতে না পারায় দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন আহমেদকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত সার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় এলাকার নসিমন চালক সাইফার আলী ২০ বস্তা সরকারি এমওপি সার নিয়ে হামিদপুর বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে আসেন। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের দোকানে ওই সার পৌঁছালে সরকারি সার দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ হয়। ফলে স্থানীয় কৃষক-জনতা খবর পেয়ে দোকান ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পরে স্থানীয় চানপাড়া ফাঁড়ি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
স্থানীয় কৃষক রমজান আলী অভিযোগ করেন, ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তার একটি গুদামে ওই এমওপি সার গোপনে রেখে দিয়েছিলেন। রোববার একটি নসিমনযোগে ওই সার নয়ন এন্টারপ্রাইজে বিক্রি করতে পাঠান।
এর কিছুদিন আগে কৃষকদের মধ্যে ওই সারের একটি অংশ বিতরণ করা হয়েছিল। বাকি সার বিক্রির চেষ্টাকালে ধরা পড়ে। পরে যশোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই সারসহ দু’জনকে হেফাজতে নেন। এ সময় ২০ বস্তা সার জব্দ করেন তিনি। একই সঙ্গে দোকান মালিক শাহাবুদ্দিন আহমেদকে সাত হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
ইউজি/জেএইচ