ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা, খুনি হাসপাতালে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
গফরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা, খুনি হাসপাতালে

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোমিও চিকিৎসক মো. হারুন অর রশিদকে (৪৮) প্রকাশ্য কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাগলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

তবে এ ঘটনায় হত্যাকারী স্থানীয় নেওকা গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (৩৫) জনতার হাতে গণপিটুনির শিকার হয়ে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টায় পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

এর আগে গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে নিহতের ছেলে ফেরদৌস আহম্মেদ দীপ্ত বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হত্যাকারী রুবেল মিয়াকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

ওসি তদন্ত বাংলানিউজকে আরও জানান, হত্যাকারী রুবেল মিয়া পুলিশ হেফাজতে ঢাকা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। সেখানে পুলিশ হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের গয়েশপুর বাজারে বাকিতে ওষুধ না দেওয়ার জেরে স্থানীয় গোয়ালবর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে হারুন অর রশিদকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করে রুবেল মিয়া। এ সময় খুনি রুবেল এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হারুন অর রশিদের মৃত্যু নিশ্চিত করে চিৎকার করে উৎল্লাস প্রকাশ করে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। এতে সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।      

অপরদিকে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাতকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে রুবেল মিয়াকে বেধড়ক পিটুনি দেয়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান পাগলা থানার ওসি (তদন্ত) শেখ জহিরুল ইসলাম মুন্না।

এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে নিহতের ফুফাত ভাই মো. সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এর আগেও হারুন অর রশিদের আপন ছোট ভাই মো. কামরুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করেছিল ঘাতক রুবেল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ওই মামলায় সাক্ষী ছিলেন নিহত হারুন অর রশিদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।