ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন ভালো হয়েছে, পিটার হাসকে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
নির্বাচন ভালো হয়েছে, পিটার হাসকে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ভালো হয়েছে বলে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে জানিয়েছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি পিটারকে বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ তুলে হাছান মাহমুদ বলেন, নানা বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কো-অপারেশন (সহযোগিতা) আছে। আমরা জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করেছি। আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে আমরা একমত ব্যক্ত করেছি। গত নির্বাচনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে, প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। কারণ, নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ছিল সকালে এবং ঠাণ্ডাও ছিল। সেটি না হলে ভোট আরও ১০ শতাংশ বেশি পড়ত। সেটি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা উভয় দেশ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে, জঙ্গি দমন, উগ্রবাদ মোকাবিলাসহ সব ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি।

নির্বাচনের পর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। কিন্তু আজকের বৈঠকে পিটার হাসকে হাস্যোজ্বল দেখা গেছে। সেই অস্বস্তি কতোটা কাটল- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার মার্কিন সরকারের সঙ্গে একযোগে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি।

মন্ত্রী বলেন, মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেই আমার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাণিজ্য ক্ষেত্রেও তারা একটি বড় বাণিজ্যের অংশীদার। আমি গত ৫২ বছরের পথচলায় মার্কিন সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা উভয়েই আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার ব্যাপারে একমত হয়েছি। সে লক্ষ্যে কাজ করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার জন্য, বাণিজ্য আরও বিস্তৃত ও সরাসরি বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার বিষয়ে কথা বলেছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে আমরা তাদের সহায়তা সব সময় চেয়ে এসেছি। আজকে সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তারা আমাদের সহায়তা করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাবো। ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও এটি নিয়ে কথা বলেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি শুরুতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় অমানবিক হামলার ঘটনায় বিশ্বের দৃষ্টি অনেকটা সরে গেছে। সেজন্য আমি তার সঙ্গে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গা ইস্যুটি আমাদের জন্য সমস্যা। বাংলাদেশে ঘন জনবসতি। সেখানে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের জন্য বাড়তি সমস্যা। সেজন্য তাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪
টিআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।