ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মাদরাসার সাড়ে ৮ বিঘা জমির সরিষা ও ভুট্টা পুড়িয়ে নষ্টের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
মাদরাসার সাড়ে ৮ বিঘা জমির সরিষা ও ভুট্টা পুড়িয়ে নষ্টের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ: জেলার তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জেরে বিষ প্রয়োগ করে একটি মাদরাসার সাড়ে ৮ বিঘা জমির সরিষা ও ভুট্টা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।  

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদরাসার জমিতে এ ক্ষতিসাধন করা হয়।

 

অভিযুক্তের নাম মো. রফিকুল ইসলাম, তিনি পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

এ বিষয়ে মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

প্রাথমিক তদন্তে বিষ প্রয়োগে ফসল পুড়িয়ে ফেলার সত্যতাও পাওয়া গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাড়াশ উপজেলার পতিরামপুর মৌজায় ১৩৮ ও ১৩৩ শতক ফসলি জমি খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদরাসার নামে কেনা হয়। ওই জমি নিজের দাবি করে পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ আদালতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা দায়ের করেন। মামলায় রফিকুল ইসলাম নিম্ন আদালতে হেরে সিরাজগঞ্জ জর্জ কোর্টে আপিল করেন।
সেখানেও তিনি হেরে যান। বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন।

খুবজীপুর সরদার আব্দুল হামিদ দারুল উলুম মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান অভিযোগ করেন, পর পর দুইবার মামলায় পরাজিত হয়ে রফিক মাস্টার মাদরাসার জমির ফসল নষ্ট করেছেন।  

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার বাবা পত্তনি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। মামলায় হেরে গেছি সত্য। আমি উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তদন্তে সরিষা নষ্ট করার বিষয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অল্প দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।