বগুড়া: নিজেকে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় নয়টি বিয়ে করা নাজমুল হক (৩০) নামে এক প্রতারককে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আশিক ইকবাল।
এর আগে, সোমবার (২২ জানুয়ারি) বগুড়ার শিবগঞ্জের ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।
আটক নাজমুল হক পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে, নাজমুল তার নিজ জেলায় পাঁচটি এবং বগুড়ার মোকামতলা এলাকায় আরও চারটি বিয়ে করে যৌতুক হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। মোবাইলে পুলিশের পোষাক পরা ছবি দেখিয়ে ভয় ভীতিও দেখাতেন অনেককে। অবশেষে বগুড়ার শিবগঞ্জের ভরিয়া গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিতে গিয়ে সোমবার পুলিশের হাতে আটক হন তিনি।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া গ্রামে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখের বাড়িতে যান নাজমুল হক। এসময় তিনি নিজেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিতে চান। এতে সন্দেহ হলে বাসা ফাঁকা নেই বলে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ পরিচয় দেওয়া নাজমুল ওই ইউপি সদস্যের ফোন নাম্বার নিয়ে চলে যান।
এরপর বিকেলে মঞ্জু শেখকে ফোন করে ১০ হাজার টাকা ধার চান নাজমুল। এতে মঞ্জু শেখের সন্দেহ হলে বিষয়টি তিনি মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানান।
পরে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, নাজমুল হক নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোকামতলা এলাকায় চারটি বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। এছাড়াও পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্নজনের কাছে তদবিরের নামে তিনি টাকা হাতিয়ে নিতেন।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল জানান, নাজমুল হকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পুলিশের পোশাক পড়া একাধিক ছবি পাওয়া গেছে। ছবিগুলো দেখিয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন, ভয়-ভীতিও দেখাতেন।
তিনি আরও জানান, অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাজমুল হক পুলিশের এসআই পরিচয়ে তার এলাকাতেও পাঁচটি বিয়ে করেছেন। এছাড়া মোকামতলা এলাকায় এসে তিনি চারটি বিয়ে করেছেন। তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য মঞ্জু শেখ বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪
এফআর