সিলেট: কুরিয়ার সার্ভিসের বাহনে করে পাচারের সময় ভারতীয় চিনি আটক করা হয়েছে সিলেটে। এ পণ্য চোরাই পথে বাংলাদেশে এনেছেন জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতা, এমন অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সাধারণ জনতার সহায়তায় ভারতীয় এসব চিনি আটক করে মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে ২১ ও নগরের আম্বরখানায় একটি দোকান থেকে ৬৮ বস্তা চিনি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ও দুপুরে নগরের সুবিদবাজার বনকলা পাড়া থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের বাহনে ২১ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক করে সাধারণ জনগণ। এক সিএনজি অটোরিকশা চালককেও আটক করে তারা। তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে একটি দোকান থেকে ৬৮ বস্তা চিনি আটক করে পুলিশ। এ সময় সজল আহমদ নামে দোকানের এক কর্মচারীকে আটক করা হয়। আটক সজল নগরের শিবগঞ্জ লামাপাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা বলেন, কাভার্ড ভ্যানে অন্তত ৪০০ বস্তা চিনি ছিল। জনতা ২১ বস্তা চিনি আটক করতে সক্ষম হন। আটকের আগে অন্তত; ১০/১২টি সিএনজি অটোরিকশা যোগে চিনি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
যে সিএনজি অটোরিকশা চালককে আটক করা হয়েছে তার নাম রাজীব। তিনি জানান, চিনির চালানটি জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমাদ আহমদ চৌধুরীর। তার নেতৃত্বে কাভার্ড ভ্যানে চিনির চালানটি আনা হয়।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ললিত আহমদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ সময়মতো এলে আরও বেশি চিনির বস্তা আটক করা যেত। থানা পুলিশ ঠিকমতো তদারকি করলে এ ধরনের অপরাধ হতো না।
সিলেট নগরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল লতিফ মিলন বলেন, আমার এলাকায় কীভাবে এসব চিনির চালান এসেছে সেটি তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনারকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।
অবৈধ ভারতীয় চিনির চালান আনার বিষয়ে জানতে সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমাদ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীকে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসের ওই বাহনে ভারতীয় চিনি চালানে কারা জড়িত, খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
এনইউ/এমজে