কক্সবাজার: বৌদ্ধ বিহারে প্রার্থনা করতে যাওয়ার সময় বিহারের গেটের সামনেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন মল্লিকা বড়ুয়া (৭১)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার নিজ বাড়িতে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে রামুর জাদীপাড়া শ্মশান প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করার কথা আছে। ধর্মপ্রাণ এবং সমাজ সেবিকা হিসেবে পরিচিত মল্লিকা বড়ুয়ার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বৌদ্ধ মন্দির সড়কে (চেরাংঘাটা) দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা মোটরসাইকেলটি জব্দ করলেও চালক পালিয়ে যান।
দুর্ঘটনার শিকার মল্লিকা বড়ুয়া রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপি গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত সূর্য্যধন বড়ুয়া প্রকাশ বেইঙ্গা বড়ুয়ার সহধর্মিনী এবং উন্নয়নকর্মী পূর্ণধন বড়ুয়ার মা।
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, তিন মেয়ে ও অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পূর্ণধন বড়ুয়া জানান, গত ২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার মা প্রতিদিনের মতো পাশের মৈত্রী বিহারে উপাসনা (প্রার্থনা) করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিহারের সামনেই দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রামু হাসপাতালে এবং সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে জরুরি অপারেশনের তাকে জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তিনি জানান, ওই রাতেই মল্লিকা বড়ুয়াকে চমেক হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে অপারেশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে সম্ভব হয়নি। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। প্রায় ৭২ ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে চিকিৎসক বাড়ি নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়ি নেওয়া হয়। পরে রাত ৮টা ১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৪
এসবি/এফআর