ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা দেশ ও জনগণের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনে কখনো কুণ্ঠাবোধ করে না।
পুলিশ সদস্যদের দেশপ্রেমিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তারা আগামীতেও কর্তব্যে অবিচল থেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মঙ্গলবার ৬ (ফেরুয়ারি) দুপুরে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কর্মীদের হামলায় আহত নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাককে দেখতে যান আইজিপি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত আব্দুর রাজ্জাক গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশস্থলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেখানে বিএনপি কর্মীরা পাইপ, লাঠিসোটা দিয়ে নৃশংসভাবে তার মাথায় আঘাত করে। তাৎক্ষণিক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১২ দিন আইসিইউতে চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ভারতের দিল্লি অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ২০ দিন আইসিইউতে ছিলেন। দুই মাস দুই দিন চিকিৎসার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১১ জানুয়ারি তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। তার সুচিকিৎসার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত সম্পর্কে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আইজিপি বলেন, বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন সবাই মিলে একযোগে কাজ করছে। ঘুমধুমে এক বাংলাদেশি নারীসহ দুজন নিহতের ঘটনায় স্থানীয় থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মামলা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ সময় আইজিপির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এজেডএস/এমজে