লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে পরকীয়া প্রেমের জেরে আবুল বাশার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উত্তর ফতেহপুর গ্রামের ওয়ারিশ পাওয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল বাশার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিলেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে প্রবাসে থাকেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী কোহিনুর বেগম, মেয়ে রাফা ও পুত্রবধূ দিপাকে আটক করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কোহিনুর বেগমের সঙ্গে বাড়ির একজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এরই জেরে স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে কোহিনুর তার স্বামী আবুল বাশারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এসময় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে ঘরের মধ্যে মারা যান আবুল বাশার।
নিহত আবুল বাশারের বোন সেলিনা আক্তার ও আমেনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, তাদের ভাই ২৭ বছর সৌদি এবং পাঁচ বছর ওমানে ছিল। গত চার বছর আগে সে বাড়িতে আসেন। এতোদিন সে বেকার থাকায় তাকে দেখতে পারতো না পরিবারের লোকজন। এছাড়া কোহিনুর বেগমের সঙ্গেও নাকি অন্য পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এসব কারণে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকতো। এর জেরে তাদের ভাইকে হত্যা করেছে কোহিনুর।
আবুল বাশারের বড়বোন রহিমা বেগম বলেন, আমার ভাইকে ঠিকমতো খাবার দিত না। ঘরে শুতে দিত না। মানসিকভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আজ আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমরা এর বিচার চাই।
আবুল বাশারের ভাতিজা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার চাচির সঙ্গে একই বাড়ির বিল্লাল হোসেন বিলুর অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়েই অশান্তি ছিল। ঘটনার সময় আমার চাচাকে হাসপাতালে নিতে বাঁধাও দেন বিল্লাল। বাধ্য হয়ে আমরা পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এসএম