ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পুনরায় চালু হলো আলট্রাসনোগ্রাম।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে গিয়ে দেখা যায় জরুরি বিভাগের সিটিস্ক্যান কক্ষের পাশের একটি কক্ষে আল্ট্রাসনোগ্রামের নতুন মেশিন বসানো হয়েছে।
কামরাঙ্গীরচর থেকে সাড়ে তিন বছরের বয়সী শিশু ফারুককে পেটব্যথার চিকিৎসায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন স্বজনরা। চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরি বিভাগে আলট্রাসনোগ্রাম করতে পাঠিয়েছেন। শিশুটির আলট্রাসনোগ্রামের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তার মামী মমতাজ বেগম।
রহিমা বেগম (৪৫) নামে আরেক নারী পেটের পাশাপাশি মূত্রথলিতে সমস্যাসহ নানা জটিলতায় জরুরি বিভাগে এসেছেন। চিকিৎসকরা তাকেও আলট্রাসনোগ্রাম করতে পাঠিয়েছেন। স্লিপ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার নিকটাত্মীয় কোহিনুর।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সরদার মো. মোখলেসুর রহমান জানান, জরুরি বিভাগে করোনার আগেও আলট্রাসনোগ্রাম ছিল। করোনার সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশে আজ থেকে আবারো আলট্রাসনোগ্রাম চালু হয়েছে।
হাসপাতালে বহির্বিভাগের রেডিওলজি বিভাগে আলট্রাসনোগ্রাম বরাবরের মতোই আছে। পাশাপাশি নতুন ভবনের নিচতলায় রোগীদের আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়ে থাকে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, আবারো চালু করা হয়েছে জরুরি বিভাগের আলট্রাসনোগ্রাম। রোগীরা ইতোমধ্যে সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম করছেন। জরুরি রোগীদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয়, হাসপাতাল থেকে সেগুলো করা হচ্ছে। হাসপাতাল হলো রোগীদের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়ার প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এজেডএস/আরএইচ