ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

ভারত থেকে ২৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে: নসরুল হামিদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
ভারত থেকে ২৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে: নসরুল হামিদ

ঢাকা: বর্তমানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পাশাপাশি সরকার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে সৌর বিদ্যুৎ প্রসারের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলেও তিনি জানান।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে ২৩ হাজার ১৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪১টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত আছে। এ ছাড়া ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১১ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন ও দরপত্র প্রক্রিয়াধীন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৪ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাক্রমে- মাতারবাড়ী, গাজীপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াশাল, ময়মনসিংহ, রূপসা, রামপাল, পটুয়াখালী, মেঘনাঘাট, কেরানীগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এ ছাড়া ২ হাজার ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাক্রমে- ফেঞ্চুগঞ্জ, গজারিয়া, মিরসরাই, মেঘনাঘাট ও রাউজানে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

আওয়ামী লীগের সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর এক প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার কর্তৃক জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করে বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ প্রসারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমসমূহের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যার সম্মিলিত ক্ষমতা ৯৭১.৭০ মেগাওয়াট। ওই কার্যক্রমের আওতায় ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে ৭.৬ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা থেকে ইতোমধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।  

এ ছাড়া ৮৮.৭৫ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার আরও একটি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান। যার বাস্তবায়নকাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।