ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

জি আই পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
জি আই পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ

ঢাকা: ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ট্যাগ ব্যবহার করে নিবন্ধিত পণ্যসমূহ রপ্তানির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল শাড়ির বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’-কে জিআই পণ্য হিসেবে জার্নালে প্রকাশনা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অংশীজনের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। সভায় সিনিয়র সচিব জিআই পণ্য হিসেবে ‘টাঙ্গাইল শাড়ি’-কে ভারতে নিবন্ধন এবং বাংলাদেশের করণীয় বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেন।

সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, জিআই ট্যাগ ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করলে উদ্যোক্তারা পণ্যের অধিকতর মূল্য পাবেন এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। এ বিষয়ে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি লিগ্যাল এক্সপার্ট প্যানেল গঠনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।   

সভায় এ বিষয়ে পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস  (ডিপিডিটি)-র পক্ষ থেকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। উক্ত উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ও ভারতের জি আই সংশ্লিষ্ট আইন, উভয় দেশের টাঙ্গাইল শাড়ির জার্নাল, টিআরআইপিএস অ্যাগ্রিম্যান্ট এর সংশ্লিষ্ট ধারা এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।  

সভায় বক্তারা ভারতীয় পরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর আলোকপাত করেন এবং প্রতিবেদনে জিওগ্রাফিক্যাল লোকেশন-কে উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। এছাড়া তাঁতীদের স্থানান্তরের বিষয়টি ভারতীয় জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান। উক্ত জার্নালে শাড়িটি হাইব্রিড শাড়ি বলে স্বীকার করা হয়েছে তাই উক্ত শাড়িটি একটি নতুন শাড়ি যা টাঙ্গাইল শাড়ি নামকরণ করা অযৌক্তিক বলে মত প্রকাশ করেন।  

বক্তারা বলেন, টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে অনুরূপ কেস স্টাডি (যেমন-বাসমতি চাল) করাসহ ডিপিডিটির জি আই সেলকে শক্তিশালী করার পরামর্শ দেয়া হয়।  

আলোচনায় অংশ নিয়ে সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান জি আই এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান। এছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশ যেহেতু লিজবন অ্যাগ্রিম্যান্ট এর সদস্যভুক্ত দেশ নয়, সেহেতু ডব্লিওআইপিও অরবিট্রেশন মিডিয়েশন সেন্টার এর মাধ্যমে এ বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।  

এসএসজিপি প্রকল্পের সম্মানিত উপদেষ্টা শরিফা খান আমাদের আপত্তির বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং ভারতীয় হাইকোর্ট বরাবর আপিল করার কথা বলেন। তিনি বিকল্প সকল উপায়ে একইসঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের উপর জোর দেন।  

ট্রেড এক্সপার্ট ড. মোস্তফা আবিদ খান তিনটি পদ্ধতিতে বিষয়টি নিষ্পত্তির উপর আলোকপাত করেন। প্রথমত কূটনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি সমাধান করা। দ্বিতীয়ত, আপিলের জন্য  ডব্লিওটিও-তে আবেদন করা এবং তৃতীয়ত টাঙ্গাইল শাড়ি নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ হতে ভারতে আবেদন করা।  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আলম মোস্তফা ডব্লিওটিও ডিস্পুট সেটেলম্যান্ট বডি-তে আবেদন করার কথা বলেন। একই মন্ত্রণালয়ের ডব্লিওটিও উইংএর প্রতিনিধি মাসুকুর রহমান শিকদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভারতের আদালতে আপিল করার কথা বলেন। এছাড়া জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০২৪
জিসিজি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।