ঢাকা: সরকারের চেয়ে বাজার সিন্ডিকেট কীভাবে শক্তিশালী হয়, সে প্রশ্ন করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার পরও দৃশ্যমান কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ অভিযোগ করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সরকারের চেয়ে কীভাবে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়? আমাদের দেশের বিভিন্ন সংস্থা আছে, তথ্য আছে, তাহলে কীভাবে সরকারের চেয়ে এরা বড় শক্তিশালী হয়?
তিনি বলেন, আমি বলতে পারি, যদি সিন্ডিকেটকে শক্তহাতে দমন করা না হয়, তাহলে এরা রমজানে পণ্যের দাম বাড়াবে। এই সংসদে আগের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু দৃশ্যমান কিছু দেখছি না। সিন্ডিকেট এত শক্তিশালী হয়ে গেছে যে, তারা প্রতিদিন সকালে মোবাইলের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে দেয়। এরা সকালে এসএমএসের মাধ্যমে চিনির, ডিমের, মাংসের, তেলের এমনকি তাজা শাক-সবজির দাম নির্ধারণ করে দেয়। তারাই এতই শক্তিশালী যে, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানার পরও কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কোনো অ্যাকশন হয়েছে, কিছু দেখিনি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, এনবিআর থেকে ট্র্যাক্স কমানো হয়েছে। আশা ছিল জিনিসপত্রের দাম কমবে। চিনির জন্য আমাদের সরকারি সংস্থা আছে। একদিন সংস্থাটি হঠাৎ করে চিনির দাম বাড়িয়ে দিল ২৫ টাকা। পরে অবশ্য সন্ধ্যায় তা স্থগিত করে। কিন্তু এই সুবিধা নিল চিনির সিন্ডিকেট। দাম বাড়িয়ে দিল ১৬০ টাকা কেজি। অথচ পাশের দেশে চিনির দাম কম। সেখানে মাত্র ৭০ টাকা। আর আমাদের দেশে ১৬০ টাকা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আমি গ্রামে যাই, রাস্তায় যাই, কোথাও দেখি না দাম কমে। এর কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট নিয়ে রিপোর্ট হচ্ছে। শনাক্ত করা হয়েছে। দাম কমানো নিয়ে বা তদারকির জন্য একটি অধিদপ্তর রয়েছে। সেই অধিপ্তরের মহাপরিচালকের সামনে একজন অপরজনকে পিটাচ্ছে, কেন তারা কম দামে বিক্রি করছে, তাদের মারধর করা হচ্ছে। সরকারের যারা রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ, ব্যবস্থা নিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ