ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সুন্দরবনে চরপাটা জালে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে জেলেদের মানববন্ধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
সুন্দরবনে চরপাটা জালে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে জেলেদের মানববন্ধন

খুলনা: সুন্দরবনে চরপাটা জাল নিষিদ্ধ করা-সংক্রান্ত বনবিভাগের নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলেরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুন্দরবনের কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের সামনে মানববন্ধন করেছেন বনজীবী জেলে সম্প্রদায়ের কয়েকশ’ নারী-পুরুষ।

খুলনার করারা উপজেলার সর্বস্তরের জেলে বাওয়ালিরা এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে কর্মসূচিতে জেলে বাওয়ালিদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম লুৎফর রহমান, সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আবু সাইদ মোল্যা, ইউপি সদস্য মাসুম বিল্লাহ, ইউপি সদস্য মুর্শিদা খাতুন, মৎস্য ব্যবসায়ী শেখ নুরুল হুদা, আমিরুল ইসলাম খোদা বক্স গাইন, সুন্দরবনের জেলে মোস্তফা সানা, মোল্যা আক্তারুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন সুন্দরবনের জেলে মোল্যা আক্তারুল ইসলাম বলেন, সুন্দরবনে ঘন ফাঁসের জাল নিষিদ্ধ। আমরা অবৈধ জাল ব্যবহার না করে বড় ফাঁসের চরপাটা জালে মাছ ধরে সংসার চালাই। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বনবিভাগ চরপাটা জালে মাছ ধরতে দিচ্ছে না। চরপাটা জাল বন্ধ করায় জেলেরা এখন বনে যাচ্ছে না, এখন বনে যাচ্ছে বিষ দস্যুরা। জেলেরা বনে থাকলে অপরাধীরা সুযোগ পায় না। তাই চরপাটা জালে মাছ ধরার অনুমতি দিয়ে গরিব জেলেদের বনে যাওয়ার সুযোগ দিন।

সুন্দরবনের জেলে মোস্তফা সানা বলেন, আইন হলে সবার জন্য হোক। এখন শুধু খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার আওতায় থাকা সুন্দরবনের জেলেদের জন্য চরপাটা বন্ধ হয়েছে। বাকিদের জন্য হয়নি। অবিলম্বে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।

সুন্দরবন কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) নির্মল কুমার বলেন, এক বছর আগে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জেলেদের চরপাটা জাল ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনেক জেলে গোপনে জাল দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলেন। ২১ ফেব্রুয়ারি ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, পশ্চিম বন বিভাগের কর্মকর্তা চরপাটা জাল বন্ধে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন এমনটি শুনেছি। কিন্তু আমাদের বিদ্যমান ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনায় এ ধরনের চরপাটা জলের বিষয়ে কোন বিধি-নিষেধ নেই। আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় নিষিদ্ধ জলের তালিকায়ও চরপাটা জালের উল্লেখ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।