পাবনা: আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন উপলক্ষে পাবনায় ১০ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ব্যাপ্টিস্ট চার্চ অন্তর্ভুক্ত সদস্যরা।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা সদরের মিশন হাউস চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রায় জেলা সদরের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ, কিশোর- কিশোরী, যুবক, প্রবীণ সবাই অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে ছিল মিশনের শিক্ষার্থীদের ফেলোশিপ প্রদান। বড়দিন সামনে রেখে জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকা ও সাজসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছে উপাসনালয় ও বসতবাড়ি। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী রোববার চার্চের মিশন হাউস চত্বরে প্রি-ক্রিসমাস ও যুব ফেলোশিপ দেওয়া হবে।
এছাড়া বড়দিনের কীর্তন, নগর কীর্তন, বড়দিনের উপাসনা, প্রীতিভোজ, পিঠাপর্বণ, গোশালা তৈরি, ক্রিস্টমাস ট্রি সাজানো, কেক কাটাসহ রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তাইতো বড়দিনকে উৎসবমুখর করতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে শেকড়ের টানে ছুটে আসেন সবাই। একই সঙ্গে ইংরেজি চলতি বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমনের জন্য নিয়েছেন প্রস্তুতি।
জেলাতে এবার ২৩টি গীর্জায় বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে পাবনা সদরে একটি, চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর, মূলগ্রাম, হরিপুর ফৈলজানাতে ১৫টি, ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক চার্চ সজ্জিত করা হয়েছে।
এছাড়া চাটমোহর মথুরাপুর, উথুলী, নেংড়ি, ফৈলজানা ও কাতুলী গ্রামের গির্জাসহ উপজেলার ১২টি গির্জায় বড়দিন উদযাপনের বিশেষ প্রস্তুতি চলছে।
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চারের সদস্য কলিট তালুকদার বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরেও পাবনা মিশন হাউস ও চার্চের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যিশু খ্রিস্টের শুভ জন্মদিন পালনে সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এটা আমাদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব।
জেলা সদরসহ আতাইকুলা, চাটমোহর, অষ্টোমনিষা, দেবত্বর, ঈশ্বরদীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজের মতো করে দিনটিকে উদযাপন করবেন। ধর্ম তো ব্যক্তির উৎসব সবার। সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ বার্তা বয়ে আসবে বড়দিনে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
আরএ