ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৈয়দপুর রেল কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ঈদযাত্রার কোচ

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
সৈয়দপুর রেল কারখানায় প্রস্তুত হচ্ছে ঈদযাত্রার কোচ

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানায় কাজ চলছে জোরেশোরে। জনবল সংকটেও কারখানার শ্রমিক-কর্মচরীরা কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।

 

ফলে চারজনের কাজ করতে হচ্ছে একজনকে। এভাবে ঈদকে সামনে রেখে পুরোনো কোচ মেরামত করা হচ্ছে কারখানায়। যাতে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি ফিরতে পারেন।  

১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি ১১০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে এ কারখানায় দুই শিফটে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করলেও বর্তমানে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক ও অবসরের কারণে কারখানার ২৯টি শপে ৮০৭ জন কর্মরত রয়েছেন। আর রেলওয়ে কারখানায় মঞ্জুর করা পদ দুই হাজার ৮৬৯টি। যা দীর্ঘদিনেও পূরণ করা হচ্ছে না।  

সূত্র জানায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরে বিভিন্ন ট্রেনে সংযোজনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ২০০ শতাধিক কোচ। এসব কোচ সংযোজনের জন্য নির্ধারিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করছেন কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীরা। ফলে পুরোনো কোচ মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারখানার সংশ্লিষ্টরা। প্রতি মাসে স্বাভাবিক সময়ে ৩০টি কোচ মেরামত করা হয়। কিন্তু ঈদের আগে ও পরে পাঁচদিন স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে। এসব কোচ ছাড়াও নিয়মিত ট্রেনে লাগানো হবে মেরামত করা কোচ।  

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ৫১ কর্মদিবসে ১১০টি যাত্রী কোচ ও ১৬টি পাওয়ার কোচ মেরামত করা হচ্ছে। কারখানায় তীব্র জনবল সংকটেও শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন।  

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক আব্দুল আউয়াল বলেন, বর্তমানে কারখানায় চারজন শ্রমিকের কাজ একজন করছি। রেল যেহেতু সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, তাই কষ্ট হলেও কাজ করে যাচ্ছি। আমরা অচল কোচগুলো সচল করে তুলছি। প্রতিবছর রেলওয়ে কারখানায় ঈদে শ্রমিক-কর্মচারীরা অতিরিক্ত কাজ করে থাকেন।  

এরই মধ্যে রেলওয়ে কারখানা থেকে মেরামত শেষে ৭২টি কোচ আউটটার্ন দেওয়া হয়েছে। আরও ৫৪টি কোচ মেরামতের কাজ চলছে পুরোদমে। নির্ধারিত সময়ের আগেই এসব কাজ শেষ করার আশা কর্তৃপক্ষের।  

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান জানান, ১১০টি কোচ মেরামতের কাজ আমরা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে ৭৪টি কোচ মেরামত শেষে রেলের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি কোচগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় এসব কোচ মেরামত কাজ চলছে।  

ঈদযাত্রায় ১৬টি স্পেশাল ট্রেনে মেরামত করা কোচগুলো সংযোজন হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ২২ হাজার অতিরিক্ত মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।