ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উৎসবের বড় একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য নতুন পোশাক ক্রয়।
ঈদ উপলক্ষে বড় বড় শপিংমল থেকে শুরু করে রাস্তার ফুটপাতেও চলে ব্যাপক বেচা-কেনা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজধানীর মিরপুরের ফুটপাতগুলোতেও বেচা-কেনা চলছে। প্রখর রোদ ও তীব্র গরম উপেক্ষা করে প্রিয়জনদের জন্য পোশাকসহ নানা পণ্য কিনছেন মানুষ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের চারপাশের ফুটপাতগুলোতে এ চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠেছে। ফুটপাতগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে চলছে দরদাম। বিক্রেতার সঙ্গে দরদাম মিলে গেলেই পছন্দের পণ্য কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
ফুটপাতের দোকানদার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র রমজানের শেষ সময়ে বেচাকেনা বেড়েছে। ফলে ব্যবসাও ভালো হচ্ছে। তবে রোজা আর প্রচণ্ড গরমের কারণে ইফতারের আগে ক্রেতা কিছুটা কম থাকলেও ইফতারের পর বাড়ে ভিড়। ভিড়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেচাকেনাও বেড়ে যায়।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা কিছুটা কম। তবে এখনো ঈদের কয়েকদিন বাকি রয়েছে, তাতে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলেই বিক্রেতারা আশা প্রকাশ করছেন।
ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে ঈদের কেনাকাটায় কিছুটা কাটছাঁট করতে হচ্ছে। বিক্রেতারা গতবছরের তুলনায় এবার দাম বেশি চাইছেন। ফলে সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মিরপুর ১২ নম্বরের বসবাসকারী আকরাম হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, আমরা যারা সীমিত আয়ের লোক, তাদের জন্য বাজেটের সঙ্গে সমন্বয় করে পছন্দ অনুযায়ী কিছু কেনা রীতিমতো একটা চ্যালেঞ্জ। গতবারের তুলনায় এবার দাম বেশি। তারপরেও বছরে একবার ঈদেইতো জামা-কাপড় কেনা হয়, তাই দাম বেশি হলেও করে দেখে শুনে কিনতে হচ্ছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে সনি সিনেমা হলের দিকে যেতে হাতের বাম পাশের ফুটপাতে বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রেতা হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এবার ভাবছিলাম বেচাকেনা অনেক কম হবে। তবে বেচাকেনা মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। আশা করছি আরও সামনের দিনগুলোতে বিক্রি বাড়বে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের ফুটওভার ব্রিজের পাশেই বড়দের জিন্স এবং গ্যাবার্ডিন প্যান্ট বিক্রেতা আকাশ বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বেচাকেনা কিছুটা কম, তারপরেও যা হচ্ছে মোটামুটি খারাপ না।
ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট বিক্রেতা প্রদীপ বলেন, বেচাকেনা চলছে ভালোই। ফুটপাতের বেশিরভাগ ক্রেতাই নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবর্তী আয়ের লোক। এদের বেশির ভাগই বেসরকারি চাকরিজীবী কিংবা ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসায়ী। বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের বেতন বোনাস হয় নাই। বেতন বোনাস হলে বেচাকেনা আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস