ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীর ঢল

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীর ঢল

সাভার (ঢাকা): রাজধানীর পাশে শিল্পাঞ্চল সাভারে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এখানে থিম পার্ক ফ্যান্টাসী কিংডম ও নন্দন পাক বিনোদনপ্রেমীদের যেমন আকৃষ্ট করে তেমনি বিনোদনের পিপাসা মেটাতে মানুষ ভিড় জমায় জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।

তাই তো ঈদের দ্বিতীয় দিনে লাখো বিনোদন প্রেমীরা তাদের পিপাসা মেটালেন জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

শুক্রবার (১২  এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, লাখো বিনোদন প্রেমীরা তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ আনন্দে নিজেকে হারিয়েছেন অন্য এক জগতে। তিল ধারণের ঠাঁই নেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

ছুটি ও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন মো. মানিক মিয়া। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাভারে ফ্যান্টাসী কিংডম, নন্দন পার্ক, বর্ণচ্ছটাসহ অনেক ভালো মানের বিনোদনকেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ঘুরতে যেতে টাকা খরচ করতে হয়। এসব বিনোদন কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ বিনোদন নিয়ে থাকেন। আমরা সাভারেই বসবাস করি। এখানে আমাদের অহংকারের প্রতীক জাতীয় স্মৃতিসৌধ রয়েছে। এখানে ঘুরতে আসতে কোনো টাকা খরচ হয় না। এছাড়া এখানে এসে ঈদের আনন্দ উপভোগ করা যায়, একই সঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা সম্পর্কে পরিবার জানতে পারে। এজন্য আমি আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছি। আজ অনেক সময় এখানে কাটিয়েছি। খুব ভালো সময় কেটেছে।

আরেক বিনোদন প্রেমী আহসান হাবীব রকি বলেন, আমি ফ্যান্টাসীতেও গিয়েছি, জাতীয় স্মৃতিসৌধেও এসেছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফিলিংসটাই আলাদা। এখানে আসলে গর্বে বুকটা ভরে যায়। যত বিনোদন কেন্দ্রেই যাই না কেন জাতীয় স্মৃতিসৌধের মত তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি আর কোথাও পাই না। থিম পার্কে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। সেখানে তো টাকার প্রয়োজন হয়। এখানে বাসা থেকে রান্না করে বাটি ভরে নিয়ে এসেছি। সারাদিন ঘুরে দুপুরে খেয়ে আবার ঘোরাঘুরি করেছি। কোনো ধরনের অতিরিক্ত খরচ হয়নি। তাই জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি ছুটি পেলেই এখানে আসি। আজ প্রায় লাখ খানেক বিনোদন প্রেমী এখানে ঘুরতে এসেছেন। যেদিকে তাকাই শুধু মানুষ আর মানুষ। এমন মানুষ কিন্তু বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবেসে আমি দেখেছি। তার চেয়ে কম হবে না।

বাবা মার সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছে ৮ বছরের শিশু লামিয়া। সে বাংলানিউজকে তার অনুভূতির কথা জানিয়েছে। লামিয়া বাংলানিউজকে বলে, আমাকে সকালে বাবা বলেছে কোথায় ঘুরতে যাবে। আমি এক কথায় বলেছি জাতীয় স্মৃতিসৌধে। যেই কথা সেই কাজ আমাকে বাবা জাতীয় স্মৃতিসৌধে নিয়ে এসেছেন। এখানে আমাদের দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা শুয়ে রয়েছেন। এখানে এসে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আমি প্রতি ছুটিতে এখানেই আসতে চাই।

এ ব্যাপারে গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনে অসংখ্য বিনোদন প্রেমীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে এসেছেন। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল বরাবরের মতোই। তাদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম সার্বক্ষণিক জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছিল। এছাড়া আনসার ও ঢাকা জেলা পুলিশ জাতীয় স্মৃতিসৌধ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাভার-আশুলিয়া জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মনিরুল হক ডাবলু বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রায় লাখো বিনোদনপ্রেমীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি টিম তাদের সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ফ্যান্টাসী কিংডম ও নন্দন পার্কেও ছিল বিনোদনপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।