ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

একই দিন একই হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ ২ প্রসূতির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
একই দিন একই হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ ২ প্রসূতির মৃত্যু

পাবনা: পাবনা সদরের পৌর এলাকার শালগাড়িয়া হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত আইডিয়াল হাসপাতাল নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে পৃথক পৃথক ডাক্তার দ্বারা সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

 

এর আগে গতকাল দুপুরে রোগীদের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়েছিল।

ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলা সিভিল সার্জন সেখানে গিয়ে বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করে হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লা দেওয়ান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন প্রধান হয়ে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানিয়েছেন।  

এদিকে ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তাদের কাউকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার শিলাইদহ এলাকার মাহবুব বিশ্বাসের স্ত্রী ইনসানা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে গতকাল দুপুরে তাকে পাবনা আইডিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসময় জাহিদা জহুরা লীজা নামক এক চিকিৎসক অপারেশন করতে গেলে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে একই সময়ে পাবনার আটঘরিয়ার স্বপ্না খাতুন নামক এক রোগী কাজী নাহিদা আক্তার লিপির কাছে সিজারিয়ান অপারেশন করতে আসেন। ভুল চিকিৎসায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষ রাতেই স্বজনদের মৃত রোগীসহ হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে রোগীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

এ ঘটনায় সঠিক তদন্ত শেষে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার সময়ে যে সব উপকরণ মেডিসিন ব্যবহার হয়েছে সেগুলোর উপকরণ সংগ্রহ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন বা ওষুধ সেবনের ফলে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় চিকিৎসকসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। যেহেতু স্বাস্থ্য বিভাগের রেজিস্ট্রেশনভুক্ত এই বেসরকারি ক্লিনিক, তাই নিয়ম মেনে সব কার্যক্রম চলছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। প্রয়োজন বোধে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

তবে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো কোনো পরিবার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।