ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অসচ্ছল ৮ জনের পরিবারকে নগদ সহায়তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অসচ্ছল ৮ জনের পরিবারকে নগদ সহায়তা

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ভবনে আগুনের ঘটনায় নিহত অসচ্ছল ৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান লাভ শেয়ার বিডি ইউএস।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকারাম খাঁ হলে নিহতদের স্মরণে লাভ শেয়ার বিডি ইউএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সহায়তা দেওয়া হয়।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে ও তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও ঝালকাঠি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক এস.এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঝালকাঠি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুহ. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের প্রোগ্রামার রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ভালুকা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আ.ন.ম শাহাদাৎ হোসেন, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রকৌশলী সমির কুমার রজক দাস, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কাজী মাকসুদা লিমা, উপ-কর কমিশনার মো. আল-আমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ ও নেক্সাস টেলিভিশনের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর আমিন আল রশীদ, লাভ শেয়ার বিডি ইউএসের প্রতিনিধি ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আককাস সিকদার প্রমুখ।

স্মরণ সভায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে আগুনে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে অসচ্ছল ৮ জনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়।

নিহত গ্রিন কোজি ভবনের রেস্টুরেন্টের কর্মচারী যশোরের কামরুল হাবিব রকির (২১) বাবা ভ্যান চালক কবির হোসেন, রেস্তোরাঁ শ্রমিক ভোলার এনামুল নয়নের (২২) বাবা সিরাজ ফরাজি, রেস্টুরেন্টের কর্মচারী নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শান্ত হোসেনের (২৩) মা লিপি আক্তার, ইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কুষ্টিয়ার খোকসার বৃস্টি খাতুনের (২০) বাবা সবুজ আলী, বাবুর্চি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মেহেদী হাসানের (২৭) বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন, ওয়েটার মাদারীপুরের কালকিনির জিহাদ সিকদারের (১৯) বাবা জাকির সিকদার, নিরাপত্তাকর্মী পাবনার ফরিদপুরের সাগর হোসেনের (২৪) বাবা হাসান আলী ও পিঠা বিক্রেতা শেরপুরের শ্রীবর্দি উপজেলার শিপনের (১৯) বাবা মো. ফজর আলীর হাতে সহায়তার টাকা করে তুলে দেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহ. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার।

সভায় জানানো হয়, মানবাধিকার সংগঠনটি এর আগে একই ঘটনায় নিহত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তুষার হালদারের (২২) বাবা দিনেশ হালদার, বাবুর্চি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গাজী মো. জুয়েল রানার বাবা ইসমাইল গাজী এবং নিরাপত্তাকর্মী বরগুনা সদরের নাঈম হোসেনের (১৮) বাবা ভ্যানচালক নান্টু দফাদারে হাতে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও স্ব-স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।