ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনে অনেক লোক অংশ নেন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনে অনেক লোক অংশ নেন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ঢাকা: আমাদের জাতীয় নির্বাচনের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান ৫ বা ৭ তারিখে (জানুয়ারি) আমার মন্ত্রণালয়ের অফিসে এসেছিলেন।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করে বললেন, এখানে (বাংলাদেশে) তো নির্বাচনে অনেক লোক অংশ নেন।

 তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন সেখানে তো একমাস ধরে নির্বাচন হয়।

রোববার (৫ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত গণতন্ত্র সুসংহত করতে ‘নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন’ নিয়ে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি নেদারল্যান্ডে গেলাম। সেখানে ঘর থেকে বসে ইমেইলে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন। তারপর ২৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়নি, এজন্য নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল।

মন্ত্রী সরকারের প্রশংসা করে বলেন, দেশে একসময় ৭২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে ছিল। এখন মাত্র ১৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও ১৭ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে।

গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের গ্রামীণ সড়ক ১২ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭২ শতাংশ।

এদিকে আমেরিকা ২০-৩০ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে জেলে ঢুকিয়েছে বলে সমালোচনাও করেন মন্ত্রী।  

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। ব্রিটেনের লেবার পার্টি ৩০-৪০ বছর ধরে ক্ষমতায় নেই। তারপরও নির্বাচন করছে। পাকিস্তানে ইমরান খানের দলকে বাতিল করে দিয়েছে, তার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। জাতির জনক শেখ মুজিব ৭০ সালের নির্বাচন করেছে। আমার দল আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ সালে নির্বাচন করেনি, আর সবসময় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।  

যদিও নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তবে ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি।  

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, এখন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে নির্বাচিত হতে হয়। ফলে নির্বাচনে ব্যয় করা অর্থ উঠানোর জন্য কেউ কেউ অসৎ উপায় অবলম্বন করে থাকে। স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের ইমেজ সংকট রয়েছে। এক সময় আমরা দেখতে পেতাম শিক্ষিত সৎ, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করতেন। অর্থ উপর্জনের জন্য তারা জনপ্রতিনিধি হতে চাইত না। রাজনৈতিক পরিচয়ের চেয়ে তার জনপ্রিয়তা, সততা, শিক্ষা-দীক্ষা মানুষকে আকৃষ্ট করতো।

‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে 'নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে বিপক্ষে অংশ নেওয়া মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক মশিউর রহমান খান, সাংবাদিক মো. হুমায়ুন কবীর ও সাংবাদিক সাদিয়া আফরোজ।  

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২৪
এনবি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।