ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকায় রোদ আর তীব্র তাপদাহে সড়কের পিচ উঠে ঢেউ তোলা রাস্তা তৈরি হয়েছে। ফলে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
ঢেউ তুলা রাস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে পড়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ। পরে ভেকু মেশিন দিয়ে সেই রাস্তা সমান করা হয়।
জানা গেছে, তীব্র তাপদাহ আর রোদ গত ১৫ দিন ধরে সড়কের পিচ উঠে তৈরি হয় ঢেউ তোলা মতো রাস্তা। ঝিনাইদহ-যশোর পিচ টি দেখতে এখন একদম মেঠো সড়কে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সড়কে হাজারো যাত্রী ও গাড়ি চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ঢেউ খেলানো রাস্তায়। ফলে অকেজো হয়ে পড়ছে অসংখ্য গাড়ি। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। ভোগান্তি পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ ভেকু মেশিন দিয়ে সমান করে সেই রাস্তা। গত দু-দিন ধরে সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে মেরামত করা হয়েছে। এরপরও কিছু স্থানে একই অবস্থা রয়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক সংস্কারের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণেই এমন বেহাল অবস্থা সড়কের। সড়কের মাঝখানে কয়েকটি সারি হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
বিষয়খালী গ্রামের বসির আহমেদ বলেন, আমি প্রতিদিন সকাল ৭টার দিকে ঝিনাইদহে নিজের কর্মস্থলে যাই। চলার পথে প্রায় সময় দেখতে পাই ছোট বড় দুর্ঘটনা। এ সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দরকার। তা না হলে ঘটতে পারে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মহারাজপুর ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলসহ ছোট বড় যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দুই সপ্তাহে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলের যাত্রী আহত হয়েছেন। সড়ক বিভাগের কাছে দাবি দ্রুত সড়কটি মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হোক। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
এলাকাবাসীর দাবি, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালীর বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হক।
ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি উইকেয়ার সেকশন (ফেজ-১) ৬ লেন প্রকল্পের অধীনে হস্তান্তর করার কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের বর্তমানে কিছু করার নেই। এখন সড়কে সব সমস্যা ওই প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
উল্লেখ্য, সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, প্রায় ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা বাজেটে ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরু হওয়ায় এই সংস্কার প্রকল্প শেষ হয়েছে গত ১০ এপ্রিল। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড-জেভি হাসান টেকনোলজি বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায়। আর কাজ বাস্তবায়ন করেন ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান মাসুম নামের একজন ঠিকাদার।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৪
এসএম