ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কুইক রেন্টালে কাউকে দায়মুক্তি দেইনি: শেখ হাসিনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
কুইক রেন্টালে কাউকে দায়মুক্তি দেইনি: শেখ হাসিনা

ঢাকা: কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ আইন নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

টানা চারবারের সরকারপ্রধান বলেন, বিশেষ আইনে কাউকে কিন্তু দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছি; সামিট খুলনায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পন্ন করতে দেরি করেছিল, যে কয়দিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে তাদের জরিমানা দিতে হয়েছে। আর সেই জরিমানা আমি আদায় করেছি। দায়মুক্তি আমরা দেই না, এটা মাথায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, ওই (কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ) আইনে দায়মুক্তির কোনো ধারাও নেই, কিছুই নেই। দায়মুক্তি কী, কেউ যেন মামলা করতে না পারে, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিতে না পারে, আমার কাজ বন্ধ করতে না পারে। কারণ একটা দেশে উন্নয়ন করতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনটা কী? প্রয়োজনটা হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ দেওয়া। আমি যদি বিদ্যুৎ দিতে পারি সেখানে কর্মসংস্থান এমনি তৈরি হয়।

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন,  পৃথিবীর এমন কোন দেশ আছে যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়, একটা দেশ দেখান। এই ক্যাপাসিটি চার্জ বলে বলে সব চিৎকার, এটা বলে চিৎকার, ওটা বলে চিৎকার।

কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যারা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, প্রশ্ন ওঠান বিশেষ আইন কেন করলাম। বিশেষ আইন এই জন্য করেছি, আমি তো ব্যক্তি খাতে সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি, আর ব্যক্তি খাতে উন্মুক্ত করে দিলে পরে সেখানে তো নতুন আইন করেই করতে হবে। আমি যদি দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাই, শুধু সরকার দিয়ে করলে তো হবে না। আমাকে ব্যক্তি খাত দিতেই হবে। আর ব্যক্তি খাত না দিলে তো কর্মসংস্থানও বাড়ে না।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যতই বলেন, যেখানে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল, আজকে তো ১৬ হাজার মেগাওয়াটের ওপরে আমরা উৎপাদন করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দেন দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এসকে/এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।