ঢাকা: ফিটনেসবিহীন গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে স্ক্র্যাপ করে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জনিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ফিটনেস বিহীনগাড়ি স্কাইপ (ধ্বংস করা) করার যে প্রস্তাব এসেছে তা আমরা সমর্থন করছি।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ'র সদর কার্যালয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ এর অধীনে গঠিত উপদেষ্ঠা পরিষদের প্রথম সভায় এসব সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে মালিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। এজন্য তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩১ মে পর্যন্ত। যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে হয়নি তাই আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা করছি। বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট থেকে তো লাভ নেই, তাই আমাদের আগে ফিটনেসের বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হবে পরবর্তীতে সিটি করপোরেশন সেগুলোকে ধ্বংস, সেল বা নিষ্পত্তি করবে এমনটি জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা শহরের যত অবৈধ ফিটনেসবিহীন বাস ট্রাক ধরা হবে সেগুলোকে মাতুয়াইল ভাগারে রাখার ব্যবস্থা আমরা করে দেবো। তবে ফিটনেসবিহীন যে গাড়ি ধরা হবে সেটা সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেটা মালিকের কাছে ফেরত দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। সে গাড়িগুলোকে আমরা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ধ্বংস করব। পরবর্তীতে সেই সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবে সিটি করপোরেশন। মোট কথা ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হবে, সিটি করপোরেশন সেটা ডাম্পিং ইয়ার্ডে রাখবে ধ্বংস এবং সেল বা নিষ্পত্তি করবে। এভাবে যদি করা হয় তাহলে আমরা মাতুয়াইল ভাগাড়ে দিয়ে দেবো।
তাপস বলেন, বিভিন্ন সভা সেমিনার একটা বিষয় আলোচনা হয় আমাদের পর্যাপ্ত ডাম্পিং ইয়ার্ড নেই। তবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাতুয়াইল ভাগাড়ে ৮১ একর জমি রয়েছে। সেখানে আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজ করে থাকি এর পাশেই আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গায় ডাম্পিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা করব, বিনামূল্যে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণের জন্য সিটি করপোরেশন বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এক হয়ে মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি করে অভিযান পরিচালনা করব।
সভায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি স্ক্র্যাপের বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়িকে স্ক্র্যাপ করা হোক। তাহলে অন্য মালিকরা সতর্ক হবে। ঢাকা শহরের ৬০ শতাংশ বাসের মালিক গ্যারেজের মিস্ত্রি ও পরিবহনের কাজ করারা। ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধের বিষয়ে মালিক সমিতি সব সময় সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত আছে। শুধু মালিক সমিতির একা বললেই হবে না সবার একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২৪
ইএসএস/জেএইচ