খুলনা: পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে খুলনায় ভোক্তার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ‘ট্রাক সেল’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এজিএম আব্দুস সালাম।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, বসুন্ধরা সব সময় জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে কাজ করে। মার্কেটে যে পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সে পণ্য আমরা সাশ্রয়ী দামে ভোক্তার হাতে তুলে দিচ্ছি। যেমন এক কেজি আটা মার্কেটে ৬০ টাকা যা আমরা ৪৫ টাকায় বিক্রি করছি। তেমন এক লিটার তেল মার্কেটে ১৬৭ টাকা যা এখানে ১৬০ টাকা। পাঁচ লিটার তেল আমরা ৭৮৫ টাকায় বিক্রি করছি যা মার্কেটে কিনতে গেলে ৮১৮ টাকা লাগবে। এ রকম করে প্রতিটি পণ্য আমরা কম দামে বিক্রি করছি যাতে বসুন্ধরার পণ্যটি সবাই কিনতে পারে। ৬৪টি জেলায় এক সঙ্গে আমাদের এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা এক মাসব্যাপী চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিভিশনাল সেলস মো. আবু সাঈদ, টেরিটরি সেলস এক্সিকিউটিভ মো. খলিলউজ্জামানসহ স্থানীয় সেলস অফিসাররা।
আব্দুল্লাহ নামে এক ক্রেতা বলেন, সয়াবিন তেল, আটা, ময়দা, সুজি, ডাল কিনলাম। বাজারের চেয়ে অনেকটা সস্তা মূল্যে কিনতে পেরেছি এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ।
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বসুন্ধরার তেল, ময়দা, সেমাই, হলুদ, মরিচসহ মোট ৩১টি ভোগ্য পণ্যের এ ট্রাক সেল কার্যক্রম চলবে। ঈদুল আজহার আগের দিন পর্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে সাধারণ ক্রেতারা বসুন্ধরার পণ্য কিনতে পারবেন।
ক্রেতাদের সুবিধার্থে সয়াবিন তেল, আটা, ময়দা, সুজি, ডাল, নুডলস, চাল, বিভিন্ন প্রকার মসলাসহ প্রতিটি পণ্যের খুচরা ও সাশ্রয়ী মূল্য সম্বলিত একটি তালিকা টাঙানো থাকবে। বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত এ মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি পণ্য বিক্রি হবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ একটি ক্যাটাগরি থেকে একটি পণ্যই কিনতে পারবেন। যদি একটু তেল কিনতে চায়, তাহলে উনি তেলের যেকোনো একটি বোতল (১ অথবা ২ অথবা ৫ লিটার) ক্রয় করতে পারবেন। আটা, মসলা, চা, চিনিগুঁড়া চালসহ সব পণ্যেই এ নিয়মে ক্রয় করতে হবে। এতে অসাধু কেউ যেন অতিরিক্ত পণ্য কিনে অন্যদের বঞ্চিত করতে না পারে, তার জন্য এ নিয়মে পণ্য বিক্রি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
এমআরএম/আরআইএস