ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’

সাতক্ষীরা: ‘মিথ্যা আশ্বাস আর নয়, এবার টেকসই বাঁধ চাই’, ‘আর চাই না ভাসতে, এবার দিন বাঁচতে’, ‘উপকূলের কান্না, শুনতে কি পান না’ এমনই নানা স্লোগানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের স্থানীয় মানুষেরা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী পয়েন্টে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালান করে উপকূলবাসী।

মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা মাও. আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন- আবু তাহের, মোক্তার হোসেন, তরিকুল, স.ম ওসমান গনি সোহাগ, মাসুম বিল্লাহ, নিসাত, রায়হান প্রমুখ।

বক্তব্যরা বলেন, শুধু ঘূর্ণিঝড় রিমাল নয়, প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় নেতারা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। শোনান নানা মেগা প্রকল্পের গল্প। কিন্তু গাবুরা ব্যতীত অন্য কোথাও এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

তারা আরও বলেন, উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে না পারলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।

ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালছে। এ কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে উঠে উপকূলের মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে। উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে গত কয়েক বছরে হাজারেও পরিবারকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে।  

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, উপকূলের মানুষকে জিম্মি করে বাঁধ ভাঙার আশায় থাকেন এক শ্রেণীর অসাধু জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদারেরা। বাঁধ মেরামতের নামে তারা লাখ লাখ টাকা লোপাট করেন।

উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান উপকূলবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।