ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সহকর্মীর গুলিতে কনস্টেবল নিহত: ঘটনা তদন্তে কমিটি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
সহকর্মীর গুলিতে কনস্টেবল নিহত: ঘটনা তদন্তে কমিটি

ঢাকা: রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীমকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির বাকি দুজন সদস্য হলেন-ডিপ্লোমেটিক জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ও ডিএমপি সদর দপ্তরের একজন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি)।  

সোমবার (১০ জুন) দুপুরে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার কনস্টেবল কাওছার আলীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে, শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল কাউসারের হাতে থাকা সাবমেশিনগান থেকে ছোড়া গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। সাবমেশিনগান থেকে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন কাউসার। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজ্জাদের তিন রাউন্ড গুলি লাগে।

এ ঘটনার সময় কনস্টেবল কাউসারের ও মনির  দুজনই ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন।

ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দায়িত্বরত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসারের মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে মনিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন কাউসার। এরপর নিজের অস্ত্র রেখে সে ঘটনাস্থলে আশপাশের হাঁটাহাঁটি শুরু করেন ঘাতক কনস্টেবল কাউসার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডিপ্লোমেটিক জোনে বিভিন্ন দূতাবাসের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের সাবমেশিনগান দেওয়া হয়। এ অস্ত্রটি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা। এ অস্ত্রটি মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করার ক্ষমতা সম্পন্ন।

এ ঘটনায় নিহত মনিরুল হকের বড় ভাই পুলিশ কনস্টেবল মো. মাহাবুবুল হক (৪০) বাদী হয়ে রাজধানীর গুলিশান থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর-২) করেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, মনিরুল হকের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া থানায়। কাউসার আলীর বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে। ২০১৮ সালে মনিরুল কনস্টেবল পদে মনিরুল যোগদান করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
এসজেএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।