ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসকের সনদের ভিত্তিতে কনস্টেবল কাওছারকে দায়িত্বে ফেরানো হয়: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
চিকিৎসকের সনদের ভিত্তিতে কনস্টেবল কাওছারকে দায়িত্বে ফেরানো হয়: আইজিপি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আইজিপি। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক এলাকায় এক কনস্টেবলের গুলিতে সহকর্মী নিহতের ঘটনায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাওছার আলী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন, আমরা জানতাম। তবে চিকিৎসক যখন তাকে রোগমুক্তির সনদ দেন তখন তাকে দায়িত্বে ফেরানো হয়।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইজিপি।  

কাওছার আলী নামে যে পুলিশ কনস্টেবল গুলি ছুড়েছেন, তিনি এর আগে মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ডিপ্লোম্যাটিক এলাকার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গার দায়িত্বে ছিলেন তিনি, বিষয়টি পুলিশ জানতো কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, এটি আমরা জেনেছি। এরপর একজন চিকিৎসক যখন তার বিষয়ে বলেছেন, তিনি (কনস্টেবল কাওছার) ফুললি ফিট ফর জব (চাকরির জন্য সম্পূর্ণ সুস্থ), তখন তাকে কাজে আবার নিয়োজিত করেছি। তবে এ ধরনের সদস্যদের নিয়োগের আগে ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকব আমরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি পেশাদার বাহিনী। পুলিশে বেসিক ট্রেনিংয়ে স্ট্রেস (চাপ) ম্যানেজমেন্ট কী হবে, বিভিন্ন পর্যায়ে কী ধরনের স্ট্রেস হতে পারে, মনোবিজ্ঞানীরা ক্লাস নিয়ে থাকেন; পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও ক্লাস নেন। বিশেষ ইউনিট যেমন ডিএমপি অথবা কোনো জেলায় একজন সদস্যের যখন, পোস্টিং হয় সঙ্গে সঙ্গে ওই জায়গার ডিউটি প্যাটার্ন অনুযায়ী ব্রিফ করা হয়, ওরিয়েন্টেশন কোর্সও করানো হয়। এ ছাড়া ডিউটির ধরণ অনুয়ায়ী কী ধরনের স্ট্রেস হতে পারে, সে বিষয়েও মাঝে মধ্যে ব্রিফ করা হয়।

বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে আপনি নিশ্চয় অবগত। তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনে পুলিশ প্রধান হিসেবে আপনি কতটা বিব্রত? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো আসছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে বের হয়ে আসবে।  

আইজিপি বলেন, যখনই কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে, তখন প্রতিটি বিষয় যথাযথভাবে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

জুনিয়র সহকর্মীদের উদ্দেশে দুর্নীতির বিষয়ে কোনো বার্তা আছে কি না, জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালনের দিক থেকে ইতিবাচকভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক সময় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দেশকে ছেয়ে ফেলেছিল। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ পুলিশ পেশাদারত্বের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৪
এসজেএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।