ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় ফেরা: বাস সংকটে যাত্রীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
ঢাকায় ফেরা: বাস সংকটে যাত্রীরা

মাদারীপুর: ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল রাজধানী ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীরা। গত বুধবার (১৯ জুন) থেকেই ঢাকায় ফেরার যাত্রা শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে আসা সাধারণ মানুষের।

 

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকে মাদারীপুর জেলার শিবচরের এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে যাত্রীদের। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো এখন আর পথে থামছে না। যাত্রী ভরে আসায় পথ থেকে আর যাত্রী তুলছে না বেশির ভাগ পরিবহন।  

এদিকে, লোকাল পরিবহনও ঈদ মৌসুমে দূরপাল্লার পরিবহনে রূপ নেয়। বরিশাল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলোতে যাত্রী ভরা থাকায় শিবচরের সূর্যনগর, পাঁচ্চর, গোলচত্বর, নাওডোবাসহ একাধিক স্ট্যান্ডে থামছে না সচরাচর। ফলে ঢাকাগামী স্থানীয় যাত্রীদের পরতে হচ্ছে দুর্ভোগে!

শুক্রবার (২১ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের বিভিন্ন স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য ঢাকাগামী যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। ঢাকা-ভাঙ্গা লোকাল পরিবহনগুলো ভাঙ্গা থেকেই যাত্রীপূর্ণ করে ছেড়ে আসছে। এছাড়া দূরপাল্লার কোনো পরিবহনই কোনো স্ট্যান্ডে এখন আর থামছে না। ফলে বাসস্ট্যান্ডেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। লোকাল বাস এসে থামলে বাসে ওঠার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পাঁচ্চর থেকে ২০০ টাকার ভাড়া ২৫০ করে নিচ্ছে বাসগুলো। ভাঙ্গা থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ শত টাকা ভাড়া নিচ্ছে। বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাসে দাঁড়িয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী একাধিক যাত্রীরা জানান, ‘ঈদের সময়ে যাত্রী চাপ থাকায় ভাঙ্গা থেকেই যাত্রীপূর্ণ করে বাসগুলো আসছে। ফলে পাঁচ্চর স্ট্যান্ডে বেশির ভাগ বাসই থামছে না। মাঝে মধ্যে থামলেও সিট খালি নেই। বাড়তি ভাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। বাসের জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয়। যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। সে তুলনায় গাড়ি আসছে না। '

পাঁচ্চর গোলচত্বর স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রী মো. নাসির বলেন, বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ঢাকার ভাড়া ৩০০ টাকা চায়। দর-দাম করে ২৫০ টাকা দিয়ে গাড়িতে উঠেছি।  

সোমা আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, পাঁচ্চর বাসস্ট্যান্ডে এক ঘণ্টা ধরে বসে থাকতে হয়েছে গাড়ির জন্য। সব বাসেই যাত্রী ভরা। ভাঙ্গা থেকে আসা বেশির ভাগ বাসই এখানে থামিয়েই চলে গেছে। সকাল থেকে পাঁচ্চর স্ট্যান্ডে অসংখ্য যাত্রীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাসের জন্য!

ঢাকাগামী একাধিক বাসের সুপারভাইজার জানান, যাত্রীচাপ বেশি থাকায় ভাঙ্গা থেকেই বাসের সব সিটের যাত্রী হয়ে যায়। এজন্য বেশির ভাগ বাসই পথে থামানো হয় না। তারপরও অনেক যাত্রীদের দাঁড়িয়ে নিতে হচ্ছে। আর দূরপাল্লার বাসেরও সব সিট ভরে আসে। ফলে পথে থামানোর প্রয়োজন হয় না।

শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাকিল আহমেদ জানান, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী পরিবহনের চাপ রয়েছে মহাসড়কে। যাত্রীদেরও প্রচুর ভিড়। হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক মহাসড়কে রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়িয়ে যাত্রীদের স্বস্তিদায়ক যাত্রা নিশ্চিতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।