ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
‘শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন

ঢাকা: ভারতকে রেলপথ ট্রানজিট দেওয়ার সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না। যারা বিক্রির কথা বলে তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানের দালালি করেছিল।

সাম্প্রতিক নয়াদিল্লি সফর নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতকে রেলপথ ট্রানজিট সুবিধা দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেল যোগাযোগ চালুর সমালোচনা হচ্ছে কেন?

জবাবে প্রশ্নকর্তা বলেন, বলা হচ্ছে ভারতের কাছে বাংলাদেশের বিক্রির ষড়যন্ত্র চলছে। যারা অপপ্রচার চালায় এটা তাদের মুখরোচক গল্প।

শেখ হাসিনা তখন বলেন, আমার একটা প্রশ্ন আছে। বিক্রির ওজনটা কীভাবে করা হয়েছে? কোনো কিছু বিক্রি হলে তো ওজন মেপে হয়, না? এখন তো ইলেকট্রনিক মেশিন আছে। আগে দাঁড়িপাল্লায় মাপা হতো। তো কীসে মেপে বিক্রি হচ্ছে? আর বিক্রিটা হয় কীভাবে?

তিনি বলেন, যারা বলে বিক্রি হয়ে যাবে তাদের মাথাই ভারতের কাছে বিক্রি করা। সামরিক শাসক জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ওপর দিয়ে ভারতবিরোধী কথা বলেছিল, আর ভেতর দিয়ে তাদের পা ধরে বসে ছিল। এগুলো আমাদের নিজের দেখা ও জানা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ। যত ছোট হোক এটা আমাদের সার্বভৌম দেশ। সেই সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও স্বকীয়তা বজায় রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে কাজ করছি। এই যে আমরা সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দিলাম, তাতে সবচেয়ে বেশি লাভবান আমাদের দেশের মানুষ।  

তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও উন্মুক্ত হবে। শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে না। কারণ আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। যারা বিক্রির কথা বলে তারা একাত্তর সালে পাকিস্তানের দালালি করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট দিলে ক্ষতিটা কী? রেল যেগুলো বন্ধ ছিল তা আমরা আস্তে আস্তে খুলে দিয়েছি। যাতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওই অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হচ্ছে, তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। যে সমস্ত জিনিস আমাদের দেশে নেই তা আনার সুযোগ হচ্ছে। অর্থনীতিতে এটা সুবিধা হচ্ছে। আমরা কি চারদিকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকব? সেটা হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপের দিকে তাকান, সেখানে কোনো বর্ডারই নেই, তাই বলে একটা দেশ আরেকটা দেশের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে? একসময় সেখানে নো-ম্যানস ল্যান্ড ছিল। এখন কিন্তু সেসব কিচ্ছু নেই। এখন সেসব উঠে গেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কেন বাধা দিয়ে রাখব? দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন সব থেকে বেশি প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৪
এমইউএম/এসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।