ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, ৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ, ৩ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার

নরসিংদী: দুই মাসের ওভারটাইম এবং বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে থার্মেক্স গ্রুপের আদুরি গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এসময় মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে মালিকের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় তারা।  

রোববার (৩০) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লার আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় শ্রমিকরা।

এর আগে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কারারচর (বড়ইতলায়) ফ্যাক্টরির সামনেই অবরোধ করে রাখে গার্মেন্টস শ্রমিকরা। এসময় মহাসড়কের ওপর কাঁঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে তারা।

জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে ওভারটাইমের বকেয়া পরিশোধ করছে না কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগেও দেই, দিচ্ছি করে আর তা পরিশোধ করেনি। বরং দাবি উঠলেই নানা ওযুহাতে ছাঁটাই করা হতো শ্রমিকদের। এসবের প্রতিবাদেই ফুঁসে উঠে শ্রমিকরা। এদিকে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই প্রান্তে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় দূরপাল্লার যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়। কিছু কিছু যাত্রী এসময় বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পার হতে দেখা যায়।

আকাশ চৌধুরী নামে এক শ্রমিক বলেন, আমাদের দুই মাসের ওভারটাইমের বকেয়া আছে। কর্তৃপক্ষ সেই বকেয়ার টাকা দিবেন বলে জানায় কিন্তু আমরা নিতে গেলে আর আমাদের দেওয়া হয় না। এজন্য আজকে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

পরে আন্দোলনের খবর পেয়ে বিকাল ৬টায় ফ্যাক্টরিতে আসেন থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাদির মোল্লা। এসময় তিনি শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে বলেন, আগামী কাল সোমবার ব্যাংক খোলা থাকলে শ্রমিকদের বকেয়া ওভারটাইমের মধ্যে এক মাসেরটা দেওয়া হবে। আর ব্যাংক খোলা না থাকলে মঙ্গলবার পরিশোধ করা হবে।  

চলতি মাসের বকেয়া ওভারটাইম আগামী মাসে বেতনের সঙ্গে দেওয়া হবে। আর প্রতিমাসে ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধও করা হবে বলে জানান তিনি। পরে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তোলে নেয় শ্রমিকরা। পরে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আরেফিন বলেন, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছিলো। আমরা দু’পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা করি। পরে মালিকপক্ষ সব পাওনা পরিশোধ করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনে থেকে সরে যায় শ্রমিকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।