ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব এসেছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব এসেছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ঢাকা: স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে এ পর্যন্ত ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা সেগুলো বুঝে-শুনে নেব, যাতে তা দিয়ে আয় করা সম্ভব হয়।

কেউ অফার দিলেই আমরা নিয়ে নেব বিষয়টি এমন নয়। যেখানে আমরা লাভবান হব, সেখান থেকেই ঋণ নেব। এ ছাড়া এডিবির ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এডিবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আমাদের বহু প্রকল্পে কাজ চলছে। এডিবির একটি বড় বিনিয়োগ অংশীদার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তাদের বিনিয়োগ আসে। সিলেটে গত বছরের বন্যায় যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেগুলোর জন্য এবং পানি সমস্যার সমাধানে তারা বিনিয়োগ করেছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায় যেসব অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে, সেখানকার হোস্ট কমিউনিটির (আশ্রয়দাতা) জন্যও বিনিয়োগ করেছে এডিবি। পৌর এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের বিনিয়োগে আমরা কাজ করছি। এ ছাড়া জলবায়ু ও দুর্যোগ প্রতিরোধ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, বাংলাদেশ জরুরি সহায়তা প্রকল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা এডিবির সঙ্গে কাজ করছি। ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্প চলছে।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এসব প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আজ আলোচনা চলছে। । এসব প্রকল্পে এডিবির ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ আছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে ক্ষতি হয়েছে, সেগুলোর উন্নয়নেও এডিবির বিনিয়োগ থাকবে।

সবমিলিয়ে ১০টি প্রকল্পে আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাটি বিনিয়োগ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেটের রাস্তাঘাট উন্নয়নে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তা এসব প্রকল্পের বাইরে। গত বছর এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল।  

এডিবি যে ঋণ দিচ্ছে, তা সফট লোন, যার সুদহার দুই শতাংশের নিচে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রস্তাব আছে। আমরা সেগুলো বুঝে শুনে নেব, যাতে তা দিয়ে আয় করা সম্ভব হয়। যেমন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি প্রকল্পে কিছুদিন আলোচনা হয়েছে, সেখানে আমরা পয়েন্ট টু-ফাইভে নেগোশিয়েশন করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।