গাইবান্ধা: টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ২৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়া ঘাঘট, করতোয়া ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (০৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি ৭৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে ২৮ সে.মি., করতোয়া নদীর পানি ৯৩ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে ২২২ সে.মি. ও তিস্তা নদীর পানি ৪১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৬ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিলিমিটার।
গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও মানুষ। ফলে এসব এলাকার মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
পানিবৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানিবৃদ্ধির ফলে নিচু এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে পানি জমতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।
অন্যদিকে তিস্তার পানি আবারও রাড়তে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুরের এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
এফআর