ঢাকা, বুধবার, ২ শ্রাবণ ১৪৩১, ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ‘স্কাউটস’ আলোকবর্তিকা: এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ‘স্কাউটস’ আলোকবর্তিকা: এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী

রাজশাহী: পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ‘স্কাউটস’ হবে আলোকবর্তিকা, যে সবাইকে পাঞ্জেরির মতো আলোর পথ দেখাবে।

শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুঠিয়া উপজেলা স্কাউটসের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ স্কাউটস থেকে প্রাপ্ত কাব স্কাউট ইউনিটে ড্রাম সেট বিতরণ ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্কাউটিংয়ের বিকল্প নেই। ছোটবেলা থেকেই শিশু, কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলি উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের স্মার্ট সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ স্কাউটস এক অনন্যসাধারণ নাম। স্মার্ট নাগরিক হতে হলে হাতেকলমে কাজ শেখা, ছোট-দল পদ্ধতিতে কাজ করা, ব্যাজ পদ্ধতির মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি প্রদান, মুক্তাঙ্গনে কাজ সম্পাদন, তিন আঙ্গুলে সালাম ও ডান হাত করমর্দন, স্কাউট পোশাক, স্কার্ফ ও ব্যাজ পরিধান এবং সর্বদা স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলে কাব স্কাউটদের আগামীর বিশ্বের জন্য নেতা হয়ে গড়ে উঠতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশে স্কাউটিং আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন যেন এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে আনন্দের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং স্বাবলম্বী-সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। এরপর থেকে স্কাউটদের আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, সৎ, চরিত্রবান, কর্মোদ্যোগী, সেবাপরায়ণ, সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কাউটস অবিসংবাদী ভূমিকা নিয়েছে। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধ অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি গঠনে স্কাউট আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিহার্য।

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সমাজের ও দেশের উন্নয়নের জন্য বৃক্ষরোপণ, টিকাদান, স্যানিটেশন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, জ্বালানি-সাশ্রয়ী চুলা এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কাউটদের সেবাদান কর্মসূচি প্রশংসার দাবিদার। তবে কাব স্কাউটদের (৬ থেকে ১০+ বছর বয়সী) বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির নিত্যনতুন আবিষ্কারের পাশাপাশি দেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। পড়ার সময় পড়া, খেলার সময় খেলা এবং কাজের সময় কাজ। কাব স্কাউটদের উদ্যোক্তা হতে হবে। এর জন্য থাকতে হবে একাত্মতা। এভাবেই নিত্য চর্চায় নেতৃত্বদানের ঐশ্বরিক ক্ষমতালব্ধ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরাও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৪
এসএস/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।