ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

সহিংসতায় মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
সহিংসতায় মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় প্রাণহানিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয় এবং দুঃখজনক। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী  এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান।

রোববার দুপুরে (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সহিংসতায় প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি অপূরণীয় এবং দুঃখজনক। এজন্য মর্মাহত। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমাদের সরকার ও সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্তরিকভাবে এটি চান।

সাভারে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক ভাঙচুর করায় সেবা প্রদান করা ব্যাহত হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি চালু করা সম্ভব না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাহত হবে। তবে এ মুহূর্তে এটি চালু করার মতো অবস্থায় নেই বলে তিনি জানান।

দুষ্কৃতকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় আর যাই হোক তারা কোনো স্কুল-কলেজের ছাত্র না। স্কুল কলেজের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে তাদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে যারা বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা, ডিজাস্টার ভবন, সেতু ভবনে আগুন দিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদের মতোই কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি এ সময় মন্তব্য করেন।

সহিংসতায় খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেওয়া হবে। সেই কমিটি এটি নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্রাণিজ পণ্য যেমন: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, পরিবহন ও বিপণনের জন্য খামারিদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। খামারিদের ক্ষতির বিষয়টি মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দেখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২৪
জিসিজি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।