ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সরকার চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান, অশান্তি করলে শক্ত হাতে দমন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
সরকার চায় শান্তিপূর্ণ সমাধান, অশান্তি করলে শক্ত হাতে দমন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টি করলে তা শক্ত হাতে দমন ও আইনের প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেলে সংসদ ভবনের টানেলে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সংঘাত এড়ানোর জন্য আলোচনার দরজা খোলা রেখেছি। আমরা সংঘাতে যেতে চাচ্ছি না। কিন্তু একই সঙ্গে বলতে চাই, সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করলে আইনের প্রয়োগও ঘটাতে হবে। অশান্তি সৃষ্টি করা হলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। আমরা সন্ত্রাসকে দমন করবো।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন আর আন্দোলনের জায়গায় নেই। এখন সন্ত্রাস-সহিংসতায় চলে গেছে। আমাদের শান্তির পক্ষে অবস্থান ছিল। আমরা আলোচনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। সহিসংতার ফলে যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল, তার বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম। যারা আহত-নিহত হয়েছেন এদের মধ্যে অনেকে শিশু ছিল। এই মৃত্যুগুলোর জন্য বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষ কাঁদছে। এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার করতে হবে। তদন্ত করে জানতে হবে কারা এই হত্যাগুলো করেছে। এই শিশুরা সরকার পতনের আন্দোলন করছিল না। এই শিশুরা বেঁচে থাকলে সরকারের কি ক্ষতি হতো? এই শিশুদের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সরকারের কি লাভ হয়েছে?।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি সাধারণ মানুষের বিবেকের কাছে এ প্রশ্নগুলো করতে চাই। এই মৃত্যুগুলো, এই লাশের ওপর দাঁড়িয়ে কারা এর সুবিধা নিয়েছে, মানুষকে উসকে দিয়েছে? কারা মানুষকে উসকে দিয়ে বিপথে পরিচালিত করেছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে?

তিনি বলেন, আমরা সবাই বিচার চাই। কিন্তু রায় দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে বিচার চাওয়া হচ্ছে না। সরকার বিচার চায় সেজন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় কমিশন কাজ শুরু করেছে। আজ তারা রংপুরে গেছে। তারা বিদেশি এক্সপার্টদের আনছে। তারা এ তদন্তে ঢুকবে। তারাও বলবে তদন্তে কী পাচ্ছে, না পাচ্ছে। একবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে। তদন্তের পর জানা যাবে কে, কীভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি। আন্দোলনকারীরা বিএনপির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এখন আর তারা আলাদা থাকলো না। এটা বিএনপি জামায়াতই হয়ে গেলো। মূলত এতদিন তাদের দাবি ছিল কোটা। সেটা পূরণ হলো। তারপর দাবি ছিল, আলোচনা, সেটার দ্বার খুলে দেওয়া হলো। দাবি ছিল বিচার সেটাও পূরণ হচ্ছে। তাদের সব দাবি পূরণ হয়ে গেলো। তারপর এখন তাদের এক দফার দাবি।


তারা বিএনপি-জামায়াতদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজস্ব পরিচয় ডিজলভ করে। ২৮ অক্টোবর যাদের মোকাবিলা করেছিলাম, তারাই সামনে চলে এসেছেন। এটা এখন জনগণ আর ছাত্রদের অধিকারের জায়গায় থাকলো না। এখন যদি তারা সন্ত্রাস করে, সেটা আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা, সাধারণ মানুষ এতদিন যে জায়গায় ছিল-এই একদফা দাবির পরে মোটামুটি একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে, আসলে উদ্দেশ্যটা কী? এটা এখন পুরোপুরি একটা রাজনৈতিক বিষয় হয়ে গেছে। এখন ছাত্রদের অধিকার,কোটা বা হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে তার বিচার এই জায়গায় কিন্তু নেই। এখন তারা সোজা ক্ষমতার সংঘাতে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটা করছে। কোটা আন্দোলনকারী বা ছাত্রদের এ ধরনের দাবির যৌক্তিকতা নেই।

সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে যে সন্ত্রাসীরা ঢুকেছে, তারা প্রতিহতের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষ এটা প্রতিহত করেছে। সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসীদের বিপক্ষে জাগছে এবং জাগবে এটাই বাস্তবতা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২৪
জিসিজি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।