ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শাকিলের চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে বিপাকে পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শাকিলের চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে বিপাকে পরিবার

মাদারীপুর: কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার শাকিল আহমেদের (১৮) চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তার পরিবার।  

গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪ টার  দিকে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় সামনে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

পরে পরিবার ও সহপাঠীদের সহযোগিতায় তাকে নেওয়া হয় মিরপুরের একটি হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।  

আহত শাকিল মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের ক্রোকচর সরদারকান্দি এলাকায় মৃত সিরাজ হাওলাদারের ছেলে। শাকিল শ্যামলী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন শাকিল। বিকেলে মিরপুর ১০ নম্বরে আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলি মলদ্বারের পাশ দিয়ে ঢুকে সামনের দিক দিয়ে বেড়িয়ে যায়। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার। গত ১০ দিনে ১৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয় তাকে। গুলিবিদ্ধ শাকিলের দুইদফা বড় ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এদিকে গত শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে আরও একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে এখনও শংকামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

এ বিষয়ে শাকিলের বোন শাকিলা আক্তার জানান, ছোটবেলা বাবা মারা যান। দুই-ভাইবোন নিয়ে আমার মা ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেন। কোটা আন্দোলনে গিয়ে মারাত্মক আহত হন শাকিল। পরে তাকে উদ্ধার করে মিরপুরের আলোক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কল্যাণপুরের ইবনেসিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকা লাগছে।

তিনি আরও জানান, শাকিলের মলদ্বার দিয়ে একটি বুলেট বিদ্ধ হয়। আরেকটি গুলিতে তার এক পায়ের রগ ছিড়ে যায়। ইতোমধ্যে তিনটি অপারেশন হয়েছে। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার মত বিল এসেছে। চিকিৎসক বলেছেন, আরও এক/দেড় মাস হাসপাতালে থাকতে হবে। একমাত্র ভাইয়ের অনিশ্চিত জীবন, চিকিৎসার জন্য দরকার অনেক টাকা আর রক্ত। এমন পরিস্থিতিতে সবকিছুর হাল ধরতে হয়েছে তাকে। এই মুহূর্তে আমাদের অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার।

শাকিলের মা সেলিনা বেগম বলেন, আন্দোলনে যেতে বার বার নিষেধ করেছিলাম। ও আমাকে বলে, আমাদের ভাই ব্রাদার মরে যাচ্ছে আমি গেলাম মা। সেই যে বর হলো এখন হাসপাতালে পড়ে আছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমেটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মিয়া বলেন, কোটা আন্দোলনে ছেলেটি গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনে সেখানে যাই। ওর অবস্থা বেশ খারাপ। ছেলেটার বাবা নেই। ওর শরীরে মারাত্মক ক্ষত। ওর বাসা আমার বাসার কাছাকাছি। আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সম: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।