ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ ভাদ্র ১৪৩১, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কলকাতায় নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ

লাখো মানুষ রাজপথে, রাত দখল কর্মসূচিতে নিভে গেল ভিক্টোরিয়ার লাইট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪
লাখো মানুষ রাজপথে, রাত দখল কর্মসূচিতে নিভে গেল ভিক্টোরিয়ার লাইট

কলকাতা: কলকাতায় নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ফের রাত দখল কর্মসূচি নিল ভারত। গত ১৪ আগস্ট নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মধ্যরাত রাতে দখল কর্মসূচি  নিয়েছিল বাংলার নারীরা।

তাদের হাতে ছিল মশাল, মোমবাতি, বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড।  

এবার সরাসরি রাত দখল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র সংগঠন। বুধবার(৪ সেপ্টেম্বর) বাংলার জুনিয়র চিকিৎসক সংগঠনের ডাকে রাজপথে পা মেলাল দিল্লি মুম্বাই বেঙ্গালুরু সহ গোটা ভারত। বাংলায় প্রতিবাদের স্বর মিলে গেল কোচবিহার টু কলকাতা। সর্বত্রই নিস্তব্ধ প্রতিবাদ। সেই কর্মসূচিতে আর জি কর হসপিটাল অবস্থানরত চিকিৎসকদের সঙ্গে পা মেলালেন নির্যাতিতার পরিবার।

প্রথমে চিকিৎসকদের আহ্বান ছিল, বুধবার সবাই যেন ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘরের বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানান। পরে তা বদলে যায়। মোমের আলোয় আলোয় পথ তৈরি করার ডাক আসে সমাজের বিভিন্ন মহল। তাতে সায় দেয় জুনিয়র চিকিৎসকরা।  

এদিন গোটা কলকাতায় এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকার হয়ে যায়। তার বদলে জ্বলে ওঠে মোমবাতি প্রদীপ এবং মোবাইলের টর্চ।  

নিভিয়ে দেওয়া হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, হাওড়া ব্রিজসহ একাধিক স্থাপত্যের আলো। এক ঘণ্টার জন্য নিভিয়ে যায় হাইরাইজ বিল্ডিং এর আলো। বন্ধ থাকে অধিকাংশ বাসার আলো। এ যেন এক অন্য প্রতিবাদ। বুধবার যেন এক অন্য কলকাতা ধরা দিল শহরবাসীর চোখে।  

শহরবাসী মনে করতে পারছেন না এরকম ধরনের প্রতিবাদ তারা শেষ কবে দেখেছেন। সত্তর উর্ধ্ব এক প্রবীণ মোমবাতি নিয়ে পথে নেমেছেন। তিনি বলেন, সত্তরের দশকে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে তখন পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন। মাঝেমধ্যেই নকশালী ছাত্রদের দেখতাম তারা গা ঢাকার জন্য দেওয়ার জন্য শহরের বহু জায়গায় বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দিতে। তখন একবার অন্ধকার দেখেছিলাম। আর আজ বিচারের দাবিতে মানুষ স্বেচ্ছায়া আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিভিন্ন রাজপথে কোথাও উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।  কোথাও নজরুলের ওই লৌহকপাট গানে কণ্ঠ মেলাচ্ছে শত শত পথচারী। তারই মধ্যে নির্যাতিতার বাবা এবং পরিবার জানালো, মৃত্যুর পথ তারা মেয়েকে সেভাবে হাতের নাগালেই পায়নি। তাদেরকে ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ ঘিরে রেখেছিল। এমনকি অতি দ্রুত মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে নির্যাতিতার পরিবার, এতদিন যা সংবাদমাধ্যমে শুনেছিল। তা প্রকাশ্যে শুনলো গোটা রাজ্যবাসী।  সবমিলিয়ে বিচারের দাবিতে আরো একবার সোচ্চার হল গোটা ভারত।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।