গাজীপুর: গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকায় অবৈধভাবে বসানো মেলায় এসে নিঃস্ব হচ্ছে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মেলাটি বসানো হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকায় বসানো হয়েছে অবৈধভাবে মেলা। তবে পুলিশ বলছে, গোপনে মেলাটি চালানো হচ্ছে। গত ৮-১০ দিন ধরে মেলাটি বন্ধ করবো, করছি বলে এলাকাবাসীকে সান্ত্বনাই দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু অবৈধ ওই মেলাটি চলছেই। শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি অদৃশ্য শক্তি নিয়ে পুলিশের অনুমতি না নিয়ে মেলাটি চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এ মেলায় এসে নিঃস্ব হচ্ছে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মেলায় বসানো হয়েছে নাগরদোলা, ঝুলন্ত নৌকা ও ট্রেন। এছাড়াও অর্ধশত বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। আমবাগ অধ্যাপক আরিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মেলাটি বসানোর কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে চলছে ওই স্কুলের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। এছাড়াও দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে না হতেই এভাবে অবৈধভাবে বসানো মেলা নিয়ে পুলিশের দিকেই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) শাহ আলমকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও অদৃশ্য কারণে মেলাটি বন্ধ করতে তিনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। মেলাটির কারণে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও এই এলাকায় বসবাস করে হাজারো পোশাক কারখানার শ্রমিক। মেলাতে গিয়ে বিভিন্নভাবে টাকা খরচ করে নিঃস্ব হচ্ছে ওইসব কারখানার শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ। মেলাতে এলোমেলোভাবে টানানো হয়েছে বিদ্যুতের তার। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। এছাড়া এলাকাবাসীর ক্ষোভের কারণে যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে ওই মেলাতে। দ্রুত মেলাটি বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানায় এলাকাবাসী। গত শনিবার রাতে মেলায় এলাকার কিছু লোকজন গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে মেলাটি বন্ধ করে দেয়। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আবার মেলাটি চালু করা হয়েছে।
মেলার পরিচালক শাহ আলম বলেন, ৮ থেকে ১০ দিন ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মেলা বসিয়েছি। এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে মেলাটি বসিয়েছি। মূলত তারাই সব।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ্ আলম জানান, কয়েকবার গিয়ে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা গোপনে মেলাটি চালায়। আগামীকাল থেকে যেন মেলাটি বন্ধ করে সেই ব্যবস্থা করছি।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. নাজির উজ-জামান (ডিসি-উত্তর) বলেন, মেলাটি চালাতে কোনো অনুমতি নেয়নি। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই মেলাটি বসানো হয়েছে। তবে মেলাটি বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। =
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪
আরএস/আরআইএস