ঢাকা, সোমবার, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নর্থ সি-রুট’ কে আন্তর্জাতিক জলপথ করতে চায় রাশিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
‘নর্থ সি-রুট’ কে আন্তর্জাতিক জলপথ করতে চায় রাশিয়া

ঢাকা: রুশ শহর ভ্লাদিভস্তকে অনুষ্ঠিত হলো নবম ইস্টার্ন ইকোনমি ফোরাম (EEE-2024) । চল্লিশটি দেশের প্রতিনিধিরা সাম্প্রতিক এই ফোরামে অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হ্যান ঝেং ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইবরাহিম।

ফোরামের অংশ হিসেবে ‘নর্থ সি-রুট ও এর লজিস্টিক্স সম্ভাবনা’ একটি বিজনেস সেশনের আয়োজন করা হয়। সেশনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী হিসেবে বক্তব্য দেন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। তিনি মূলত নর্থ সি-রুটের উন্নয়ন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

লিখাচেভ বলেন, ‘নর্থ সি-রুটকে একটি আকর্ষণীয়, সুবিধাজনক এবং নিরাপদ আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমাদের এখনো অনেক কিছু করতে হবে। আমাদের কালিনিনগ্রাদ এবং সেন্ট পিটার্সবার্গসহ উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র বন্দরগুলোর সঙ্গে ভ্লাদিভস্তক ও সাখালিনসহ দূরপ্রাচ্যের বন্দরগুলোর মধ্যে একটি বৃহৎ করিডোর হিসেবে নর্থ সি-রুট বিবেচিত হয়ে আসছে। বর্তমানে, আমাদের কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো এ রুটটিকে ইউরোপ, রাশিয়া এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি কার্যকরী পরিবহন পথ হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা আরও একটি ফেডারেল প্রকল্প ‘গ্রেট নর্থ সি-রুট’ নিয়ে কাজ করছি যা সেন্ট পিটার্সবার্গ এবং কালিনিনগ্রাদের সঙ্গে ভ্লাদিভস্তকের একটি পরিবহন করিডোর হিসেবে কাজ করবে। আমাদের নিউক্লিয়ার আইস ব্রেকারগুলো এখন গ্রীষ্ম মৌসুমেও এই রুটে সচল রাখা হচ্ছে।

২০১৮ সালে রুশ সরকার নর্থ সি-রুটের অবকাঠামো পরিচালনার জন্য রসাটমকে নিযুক্ত করে। এই রুটের উন্নয়ন বিষয়গুলো তদারকি করে থাকে রসাটম। নর্থ সি-রুট মূলত একটি শিপিং রুট যার দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। ইউরেশিয়ার পশ্চিমাংশ এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে এটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত শিপিং রুট। পুরো রুটটি উত্তর মেরুতে অবস্থিত এবং রাশিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের অন্তর্ভুক্ত। এই রুট বরাবর রাশিয়ায় মোট আটটি সমুদ্র বন্দরের অবস্থান।

এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে বর্তমানে যে সমুদ্র পথ রয়েছে তার তুলনায় নর্থ সি-রুটের দৈর্ঘ্য অনেকটা কম হবার কারণে অনেক দেশ এ রুট ব্যবহারের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছে। রুটটি জনপ্রিয় হলে স্যুয়েজ খালের ওপর চাপ অনেকটা কমে আসবে। উদাহরণ স্বরূপ রাশিয়ার মুরমান্সক থেকে ভায়া স্যুয়েজ খাল জাপানের ইওকোহামার দূরত্ব ১২ হাজার ৮৪০ নটিক্যাল মাইল। অন্যদিকে, ভায়া নর্থ সি-রুট এই দূরত্ব মাত্র ৫ হাজার ৭৭০ নটিক্যাল মাইল। দূরত্ব কম হওয়ার কারণে নর্থ সি-রুট ব্যবহারের মাধ্যমে এমিশন কস্ট অনেক হ্রাস পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad