হবিগঞ্জ: ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের ২০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চুনারুঘাটের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলাটি করেন বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বাংলানিউজকে জানান।
মামলায় ব্যারিস্টার সুমনসহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এতে অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নামে। ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আসামিরা ছাত্র-জনতার ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ নানা শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষ রক্তাক্ত আহত হন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইফুল আলম রুবেল, ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ, রুমন ফরাজী, মানিক সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, ওয়াহেদ আলী ও আব্দালুর রহমান, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এম আকবর হোসেইন জিতু, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আলী, করিব মিয়া খন্দকার, আব্দুল হান্নান এবং রজব আলী।
বাদীর অভিযোগ, আন্দোলনের সময় ব্যারিস্টার সুমনের নির্দেশে মানিক সরকার তার হাতে থাকা রামদা দিয়ে বড়গাঁও এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে অলিউর রহমানকে আঘাত করেন। আরেক আসামি কবির মিয়া খন্দকার তাকে রড দিয়ে মারধর করেন। এতে অলিউর রহমান গুরুতর আহত হন। অন্য আসামিরাও অস্ত্র হাতে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে বেধড়ক মারপিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
এসআই