লক্ষ্মীপুর: গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন মো. পারভেজ নামে এক যুবক।
ঘটনার ৩৭ দিন পর অবশেষে ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
পারভেজ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের মিন্নত হাজি বাড়ির নবী উল্যার বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি থাই গ্লাসের দোকানে কাজ করতেন। মিরপুর এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ইউপি সদস্য মো. কফিল উদ্দিন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোরে মৃত্যু হয় পারভেজের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট ঢাকায় মিরপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গেলে পারভেজের মাথায় গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, পারভেজরা মোট পাঁচ ভাই-বোন। পারভেজ বড় হওয়ায় তার উপার্জনেই চলতো সংসার।
পারভেজের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমার কলিজার টুকরা মানিক আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আমার পারভেজের আয় দিয়ে আমাদের সংসার চলতো। এখন আমি আমার অন্য ছেলে-মেয়ে আর মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীকে নিয়ে কী করব?
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, পারভেজের মৃত্যুর খবরটি পেয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ডের সদস্যকে পাঠিয়েছিলাম তাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
এসআই