ঢাকা, বুধবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে হরিরামপুরে মানববন্ধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে হরিরামপুরে মানববন্ধন

মানিকগঞ্জ: স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে শত শত বিঘা কৃষি জমি, বসতবাড়িসহ বেশ কিছু সরকারি স্থাপনা রক্ষার দাবিতে পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জেলার হরিরামপুর চরাঞ্চলের জনসাধারণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) যৌথভাবে পদ্মা তীরবর্তী নদীর পাড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

ভাঙনকবলিত শত শত মানুষ এতে অংশ নেন।

জেলার হরিরামপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পদ্মা নদীর ওপারে অবস্থিত, উত্তাল পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলো দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম প্রধান মাধ্যম হলো কৃষি। প্রতিনিয়ত পদ্মা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে কৃষি জমি কমে আসছে আর এতে করে চরবাসী কর্মহীন হয়ে পড়ছে।

মানববন্ধনে ‘নদী আমার মা, রক্ষা করি সর্বদা’, ‘কৃষি জমি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না’, ‘বেশি বেশি গাছ লাগাই, চরের বৈচিত্র্য রক্ষা চাই’, ‘নদী ভাঙন চলতে থাকলে, প্রাণ বৈচিত্র্য হারিয়ে যাবে’, ‘অসময়ে বন্যা চাই না’, নদী ভাঙন থামাও’, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় চরে সরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে’ -এ ধরনের নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলতি বছরে পদ্মা নদীর ভাঙনে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে, শুধু বাড়িঘর নয়, পাশাপাশি অনেকের জীবনের সর্বশেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে আজ তারা দিশেহারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে যদি বাঁধের ব্যবস্থা না করা যায় তবে বাড়িঘরের পাশাপাশি সরকারের বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়বে। গত দু-মাসে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর আগে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের জন্য বেশ কয়েকবার সরকারের কাছে দাবি করেছি।  কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে তাই অনুরোধ করছি, স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করে পদ্মার ভাঙনের কবল থেকে আমাদের বাঁচান।  না হলে শত শত বিঘা কৃষি জমি, সরকারি স্থাপনাসহ চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়ন জেলার মানচিত্র থেকে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পদ্মা তীরবর্তী লেছরাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলমাছ মাদবর, নটাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন, বেশ কয়েকজন স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।