লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার তিস্তা নদীতে ভেসে আসা মেহেদি রাঙা হাত বাঁধা মরদেহটি নববধূ জোসনা বেগমের (১৫)।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ।
এর আগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় নদীর চরে স্রোতে ভেসে আসা অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নববধূ জোসনা বেগম নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর মেয়ে ও একই এলাকার চাপানি গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ২০ দিন আগে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় স্কুলছাত্রী জোসনার। গত শুক্রবার চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসেন তিনি। ওই দিন বিকেলে সেখান থেকে নিখোঁজ হন নববধূ জোসনা বেগম। তখন পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন বিয়ের আগের প্রেমিকের হাত ধরে চলে যেতে পারে জোসনা। সেই ধারণা থেকে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন তার পরিবার।
এদিকে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ভেসে আসা তরুণীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। মেহেদি রাঙা হাতে আই লাভ ইউ লেখা এবং দু'হাত ওড়না দিয়ে পেছন দিক থেকে বাঁধা। মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া ছিল। পরে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জোসনার পরিবারের সদস্যরা এসে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর ডিমলা থানায় মামলা থাকায় মরদেহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, জোসনার বাবা জহর আলী তার মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা থাকায় নতুন করে মামলা করা হয়নি। তবে আগের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট থানা।
** তিস্তায় ভেসে ছিল তরুণীর এসিডে ঝলসানো ও হাত বাঁধা মরদেহ
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
আরএ